চাকরি আছে, অভাব যোগ্যতার!

মেদিনীপুর শহরে দু’দিনের কর্মসংস্থান মেলা শেষ হয়েছে রবিবার। রবিবার সন্ধ্যায় কালেক্টরেটের সভাঘরে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সফলদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:৪২
Share:

প্রতীকী ছবি।

শূন্যপদ ছিল ৪৩৯। আবেদন এসেছিল ৬,২০৪। কিন্তু নিয়োগপত্র পেলেন ১১৯ জন। ‘যোগ্য প্রার্থী’ না মেলায় ৩২০টি পদ শূন্যই থেকে গেল!

Advertisement

ছবিটা পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা কর্মসংস্থান মেলার। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানে যে মেলার আয়োজন করেছিল জেলা প্রশাসনই।

মেদিনীপুর শহরে দু’দিনের কর্মসংস্থান মেলা শেষ হয়েছে রবিবার। রবিবার সন্ধ্যায় কালেক্টরেটের সভাঘরে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সফলদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। জেলাশাসক রশ্মি কমল মানছেন, ‘‘সব শূন্যপদ পূরণ হয়নি।’’ কেন? জেলাশাসকের জবাব, ‘‘এখানে বিভিন্ন সংস্থা এসেছিল। তাদের বিভিন্ন রকম কাজে শূন্যপদ ছিল। সব পদে ওরা নির্ধারিত যোগ্যতার ছেলেমেয়ে পায়নি।’’ জেলাশাসক বলেন, ‘‘আমি ওদের বলেছি, শূন্যপদগুলি ধরে রাখতে। পুজোর পরে আমরা আরও বড় আকারে কর্মসংস্থান মেলা করব।’’

Advertisement

জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শনিবার থেকে কালেক্টরেট চত্বরে শুরু হয়েছিল এই কর্মসংস্থান মেলা। এসেছিল ১৯টি বেসরকারি সংস্থা। স্পঞ্জ আয়রন কারখানা, সিমেন্ট কারখানা, রেস্তরাঁ, বেসরকারি স্কুল— নানা ক্ষেত্রে নিয়োগের সুযোগ ছিল এখানে। আবেদন জমা পড়েছিল প্রচুর। চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে ছিলেন বি-টেক, স্নাতক, স্নাতকোত্তরেরাও। মেলা শেষে দেখা যাচ্ছে, কারিগরি শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক পড়াশোনার অভাবে বহু উচ্চশিক্ষিতও চাকরিতে বঞ্চিত হয়েছেন। এক বণিকসভার প্রতিনিধি বলেন, ‘‘শিল্প সংস্থাগুলি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের পেশাদার লোক চেয়েছিল। প্রথাগত পড়াশোনা করে কাজের সুযোগ সহজে মেলে না।’’

প্রশাসনিক উদ্যোগে এই প্রথম পশ্চিম মেদিনীপুরে এমন কাজ মেলা হল। এ দিন যাঁরা নিয়োগপত্র নেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন অর্চনা সামন্ত, জয়িতা দে প্রমুখ। নারায়ণগড়ে বাসিন্দা অর্চনা এক বেসরকারি সংস্থায় কাজ পেয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘এই ধরণের উদ্যোগ খুবই দরকার। আমি শুনেছি, কারখানায় ইউনিয়ন টাকা নিয়ে লোক নিয়োগ করে। এ ভাবে নিয়োগ হলে কাউকে টাকা দিতে হয় না।’’ জেলাশাসকও সফল প্রার্থীদের প্রশ্ন করেন, ‘‘এখানে কাউকে টাকা দিতে হয়েছে না কি?’’ প্রার্থীরা একযোগে বলেন, ‘‘না ম্যাডাম।’’ জেলাশাসকের আশ্বাস, বছরে অন্তত দু'বার এমন মেলা হবে। অন্তত এক হাজারজনের কর্মসংস্থানের লক্ষ্য থাকবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন