দমদম স্টেশনে অবরোধ। নিজস্ব চিত্র।
দফায় দফায় রেল অবরোধে পুরোপুরি বিপর্যস্ত উত্তর ২৪ পরগনা জেলার রেল পরিষেবা। রেল অবরোধ প্রথমে শুরু হয় সকাল ন টায়। প্রায় এক ঘন্টা চলে রেল অবরোধ। চরম দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। দমদম, বসিরহাটের সণ্ডালিয়া, মধ্যমগ্রাম, নিউব্যারাকপুর, গোবরডাঙ্গা, হালিশহর, পলতা, ভ্যাবলা, ঠাকুরনগর সহ একাধিক স্টেশনে চলে অবরোধ। শিয়ালহ মেইন লাইনে ট্রেন চলাচল পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। হাসনাবাদ, বনগাঁ লাইনেও বিপর্যস্ত হয় ট্রেন চলাচল।
দশটায় কিছুক্ষণের জন্য অবরোধ ওঠে। রেল চলাচল একটু স্বাভাবিক হয়। কিন্তু এগারোটার পর ফের অবরোধ শুরু করেন মতুয়া মহাসংঘের সদস্যরা। এবার অবরোধ শুরু হয় বনগাঁ, কদম্বগাছি, লেবুতলা, ঠাকুরনগরে। ফের বিপর্যস্ত হয় ট্রেন চলাচল। প্রভাব বেশি পড়ে বনগাঁ ও হাসনাবাদ শাখায়।
অসমে নাগরিক পঞ্জিতে মতুয়াদের নাম বাদ পড়ার প্রতিবাদেই ছিল মতুয়া মহাসংঘের রেল অবরোধ। সর্বভারতীয় মতুয়া সংঘের নেতৃত্বে চলে এই অবরোধ। মঙ্গলবারই নাগরিক পঞ্জি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মতুয়া মহাসঙ্ঘের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘‘এ রাজ্যের মতুয়ারা কেউ ব্যাঙ্কে চাকরি করছেন, কেউ পোস্ট অফিসে, কেউ সরকারি দফতরে। তা সত্ত্বেও যে ভাবে অসমে তাঁরা বাদ পড়েছেন, তাতে সকলেই খুব চিন্তায় রয়েছেন।’’
দেখুন ভিডিয়ো
রেল অবরোধের পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার জেলাশাসকের কাছে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পরিকল্পনাও করেছে মতুয়া মহাসংঘ। এছাড়া অসমে বাদ পড়া মতুয়াদের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেও পাঠানো হচ্ছে প্রতিনিধিদল। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে অসমে যে দলটি পাঠানো হচ্ছে, তাতে মতুয়া পরিবারের সদস্য ও সাংসদ মমতা ঠাকুরও রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ‘যাদের নাম তালিকায় নেই, তারা অনুপ্রবেশকারী’
আরও পড়ুন: ‘গোরক্ষা’য় হামলা, ছেলেধরা গুজবে গণপ্রহার, বিরল অস্থিরতা দেশে