একদিন আগেই মন্দারমণিতে মদ্যপ অবস্থায় সমুদ্রস্নানে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে তিন যুবকের। হুঁশ ফেরেনি। রবিবার মত্ত অবস্থায় হলদি নদীতে তলিয়ে গেলেন দুই ব্যক্তি। ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালিয়ে এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি তাঁদের।
বিশ্বকর্মা পুজোর পরের দিন পিকনিক করতে বেরিয়েছিলেন ভবানীপুর থানার বনমালীচক এলাকার বাসিন্দা চার বন্ধু দেবাশিস দাস, রবিন দোলই, শুকদেব বারুই ও নারায়ণ মাইতি। হলদি নদীতে একটি ডিঙি নৌকো নিয়ে হুল্লোড় চলছিল। সঙ্গে ছিল দেদার খানাপিনা, নাচগান। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বালুঘাটা এলাকায় মাঝ নদীতে নৌকোয় বসেই মদ্যপান করছিলেন মাঝবয়সী ওই চার জন। খানিক পরে নৌকোর মধ্যেই শুরু হয় উন্মত্ত নাচানাচি। সে সময়ই উল্টে যায় নৌকোটি। শুকদেব বারুই ও নারায়ণ মাইতি কোনও রকমে সাঁতরে ঈশ্বরদহ জাল্পাই ঘাটে উঠতে পারেন। কিন্তু বাকি দু’জন তলিয়ে যান।
উপকূল রক্ষী বাহিনী হোভারক্রাফট ও ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি শুরু করে। সন্ধ্যার পর পুলিশের ফাস্ট ইন্টারসেপশন বোট নামে। কিন্তু রাত পর্যন্ত দেবাশিস দাস ও রবিন দোলইয়ের খোঁজ মেলেনি। সাঁতরে পাড়ে ওঠা শুকদেব ও নারায়ণবাবুকে পুলিশ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। হলদিয়ার বিডিও রাজর্ষি নাথ বলেন, “মদ্যপ অবস্থায় দু’জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে নদীতে ফের তল্লাশি চালানো হবে। রাতেও নজরদারিতে থাকবে।’’
রবিন দোলইয়ের দাদা পরেশ দোলই জানান, তাঁরা সকলেই মৎস্যজীবী। নিজেদের নৌকোও রয়েছে। এ দিন সকালেই বন্ধুদের সঙ্গে বেরিয়ে গিয়েছিলেন রবিন। কিন্তু কোথায় যাচ্ছেন তা বাড়িতে বলে যাননি। দুপুরের পর বাড়িতে দুর্ঘটনার খবর আসে।