Primary Teachers

পূর্ব মেদিনীপুরে থানার বাইরে লম্বা লাইন, মুচলেকা দিতে হল চার হাজার প্রাথমিক শিক্ষককে

নির্বাচক কমিটিতে কোনও আত্মীয় ছিলেন কি না, তা জানিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের ৩৯২৪ জন প্রাথমিক শিক্ষককে হলফনামা জমা করার নির্দেশ দিয়েছিল জেলা প্রশাসন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২৩ ২৩:১৩
Share:

বৃহস্পতিবার থানায় গিয়ে হলফনামা জমা দিয়ে এলেন ২০১২ সালে নিয়োগ পাওয়া জেলার প্রাথমিক শিক্ষকেরা। —নিজস্ব চিত্র।

থানার বাইরে লম্বা লাইন। সকলেই প্রাথমিক শিক্ষক। তাঁরা একে একে ভিতরে যাচ্ছেন। বেরোচ্ছেন মুচলেকা জমা দিয়ে। সেই সব মুচলেকায় লেখা— ‘‘নির্বাচক কমিটিতে (সিলেকশন কমিটি) কোনও আত্মীয় ছিলেন না। মিথ্যা বললে কঠোর শাস্তি মাথা পেতে নেব।’’ বৃহস্পতিবার গোটা জেলা জুড়ে এই ছবিই ধরা পড়ল পূর্ব মেদিনীপুরে।

Advertisement

নির্বাচক কমিটিতে কোনও আত্মীয় ছিলেন কি না, তা জানিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের ৩৯২৪ জন প্রাথমিক শিক্ষককে হলফনামা জমা করার নির্দেশ দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। বলা হয়েছিল, ৪ অগস্ট, অর্থাৎ শুক্রবারের মধ্যে স্থানীয় থানায় ও প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের অফিসে সেই হলফনামা জমা করতে হবে। সেই মতোই বৃহস্পতিবার থানায় গিয়ে হলফনামা জমা দিয়ে এলেন ২০১২ সালে নিয়োগ পাওয়া জেলার প্রাথমিক শিক্ষকেরা। ২০০৯ সালের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ২০১২ সালে প্রাথমিকে ঢালাও শিক্ষক নিয়োগ হয় রাজ্য জুড়ে। সেই নিয়োগে নির্বাচক কমিটিতে প্রার্থীদের আত্মীয়দের থাকার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন মৃণালকান্তি মাইতি নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলার সূত্র ধরেই ২০১২ সালের নিয়োগপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের থেকে হলফনামা চাওয়া হয়। জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, জেলাশাসকের থেকে নির্দেশ পাওয়ার পরেই পুলিশের তরফ থেকে মুচলেকা জমা নেওয়ার কাজ শুরু হয়। প্রাথমিক শিক্ষক যশোরাজ ব্রহ্মচারী বলেন, ‘‘শিক্ষা দফতর থেকে পুলিশের কাছে মুচলেকা জমা দেওয়ার কোনও সার্কুলার (বিজ্ঞপ্তি) নেই। কিন্তু আচমকা পুলিশের ফোন পেয়ে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।’’

কী রয়েছে এই হলফনামায়?

Advertisement

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই হলফনামায় নিজের নাম-পরিচয় উল্লেখ করার পাশাপাশি তিনটি বিষয় জানাতে হচ্ছে। সেগুলি হল— ১) আমি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিলের ২০০৯ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ২০১২ সালে চাকরিপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষক, ২) ইন্টারভিউ বোর্ড বা সিলেকশন কমিটির এক বা একাধিক সদস্য আমার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নন, ৩) আমি ঘোষণা করছি, আমার দেওয়া বিবরণ মিথ্যা বা ভুল হলে আমার নিয়োগ বাতিল করা হবে এবং আমি প্যানেল কর্তৃক শাস্তিমূলক ব্যবস্থার জন্য দায়ী থাকব। স্ট্যাম্প পেপারে এই হলফনামাটি লিখে এফিডেভিটের পর তা জেলা স্কুল কাউন্সিলে জমা করার পাশাপাশি একটি প্রতিলিপি থানাতেও জমা করতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন