Dengue

খড়্গপুরে ডেঙ্গি আক্রান্ত বেড়ে ৮৬

প্রাথমিকভাবে জেলায় ৭৫ জন ডেঙ্গি রোগীর খোঁজ মিলেছিল। তার মধ্যে ৭০ জন ছিলেন খড়্গপুরের। গত ২৪ অগস্ট জানা যায়, জেলায় আরও ২৫জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে ৫জন ছিলেন খড়্গপুরের। এ দিন জেলা জুড়ে নতুন করে ২০জন ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৭ ০১:৫৭
Share:

ডেঙ্গি মোকাবিলায় শহরে চলছে অভিযান। গড়া হয়েছে নজরদারি কমিটি, টাস্কফোর্স। তার পরেও ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে খড়্গপুরে।

Advertisement

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য দফতরের কাছে আসা রিপোর্টে জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এখনও পর্যন্ত মোট ১২০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে শুধু খড়্গপুরেই রয়েছেন ৮৬জন রয়েছে। এ বার ডেঙ্গির মরসুমে শহরের হাজার তিনেক মানুষ মশাবাহী এই রোগের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালে শয্যা না পাওয়ায় অনেকের বাড়িতে চিকিৎসা চলছেন। আশঙ্কাজনক রোগীদের কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

প্রাথমিকভাবে জেলায় ৭৫ জন ডেঙ্গি রোগীর খোঁজ মিলেছিল। তার মধ্যে ৭০ জন ছিলেন খড়্গপুরের। গত ২৪ অগস্ট জানা যায়, জেলায় আরও ২৫জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে ৫জন ছিলেন খড়্গপুরের। এ দিন জেলা জুড়ে নতুন করে ২০জন ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। তার মধ্যে ১১জন খড়্গপুর শহরের বাসিন্দা। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল, নার্সিংহোম বা ক্লিনিকে রক্ত পরীক্ষার পরে রিপোর্ট অনুযায়ী এই জেলায় আর ২০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। তার মধ্যে ১১জন খড়্গপুরের। আমরা পুরসভাকে পরিচ্ছন্নতার কাজ আরও নিবিড় ভাবে করতে বলেছি।”

Advertisement

ডেঙ্গি মোকাবিলায় পুরসভার কাজ যথাযথ ভাবে হচ্ছে কি না তা দেখতে প্রতিদিনই ‘ডেঙ্গি মনিটারিং কমিটি’র সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছেন। এ দিন জেলা উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তথা মশাবাহিত রোগের নোডাল অফিসার রবীন্দ্রনাথ প্রধান নিজে ইন্দার বিদ্যাসাগরপুর ও আনন্দনগর এলাকা পরিদর্শন করেন। চলে সচেতনতা প্রচার। ইন্দার বাসিন্দা রেল আধিকারিক অনুপম পালোধী বলেন, “সত্যি বলতে আগে চার দিনে আবর্জনা সাফাই হত। আর এখন চাপে পড়ে দু’দিন অন্তর সাফাই হচ্ছে। কিন্তু আবর্জনা, বেহাল নিকাশি ও দুর্গন্ধের মধ্যেই থাকতে হচ্ছে।”

পুরসভার সাফাইয়ের কাজে সন্তুষ্ট নন জেলার স্বাস্থ্য কর্তারাও। জেলার মশাবাহিত রোগের নোডাল অফিসার রবীন্দ্রনাথবাবু বলছিলেন, “বেশ কয়েকটি এলাকায় এখনও জল জমে থাকতে দেখছি। রাস্তাতেও আবর্জনা রয়েছে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে পুরসভাকেও সচেতন হওয়ার কথা বলছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement