জঙ্গলমহলের মাটির গান শোনাবে সুজনবন্ধু

মাটির গান শোনাবে। তাই এই ব্যান্ডে বৈদ্যুতিন বাদ্যযন্ত্র থাকছে না। থাকছে বাংলার নিজস্ব বাদ্যযন্ত্র ধামসা, মাদল, বাঁশি, ঢোল।

Advertisement

বরুণ দে

শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ০০:৪৭
Share:

আত্মপ্রকাশ: নতুন গানের দলের সদস্যরা। নিজস্ব চিত্র

মাটির সুর আর গানই ওঁদের ভালবাসা। সেই টানেই শহর মেদিনীপুরে আত্মপ্রকাশ করল আরও এক নয়া বাংলা গানের ব্যান্ড। জঙ্গলমহলের মাটির গান শোনাবে ‘সুজনবন্ধু’ নামে এই ব্যান্ড। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য দীপঙ্কর শীট বলছিলেন, “জঙ্গলমহলে অনেক প্রচলিত-অপ্রচলিত গান ছড়িয়ে রয়েছে। সেই সব গান আমরা কলকাতা-সহ সারা বাংলায় ছড়িয়ে দিতে চাই।’’

Advertisement

মেদিনীপুরের আটজন ছেলে মিলেই বাংলা গানের নয়া এই নতুন ব্যান্ড তৈরি করেছেন। সম্প্রতি কলকাতা প্রেস ক্লাবে ‘সুজনবন্ধু’-র আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ হয়েছে। ছিলেন প্রখ্যাত লোকশিল্পী সনজিৎ মণ্ডল। ‘কলিকালের ভোলানাথ’ শিরোনামে গাজনের এক গান দিয়েই শুরু হয়েছে পথ চলা। গানটির সামগ্রিক পরিকল্পনা মুম্বইয়ের রোহিত চক্রবর্তীর। দীপঙ্কর বলছিলেন, “এটাই আমাদের ব্যান্ডের প্রথম গান। গানটি শীঘ্রই ইউটিউবে শোনা যাবে।’’

মাটির গান শোনাবে। তাই এই ব্যান্ডে বৈদ্যুতিন বাদ্যযন্ত্র থাকছে না। থাকছে বাংলার নিজস্ব বাদ্যযন্ত্র ধামসা, মাদল, বাঁশি, ঢোল। দীপঙ্করের পাশাপাশি এই ব্যান্ডে রয়েছেন বুলন দে, অনিরুদ্ধ সেন, তপেন্দু দাস, প্রসেনজিৎ সাহু, রবি কর্মকার, সাগ্নিক জানা, শ্যামসুন্দর দোলই। প্রসেনজিৎ বাঁশি বাজান, রবি বাজান ঢোল, শ্যামসুন্দর ধামসা-মাদল। অনিরুদ্ধ বলছিলেন, “আমরা একটা নতুন ফর্ম্যাটে কাজ করছি। আশা করি, সকলের ভাল লাগবে।’’ আগামী পুজোয় ‘সুজনবন্ধু’-র নতুন অ্যালবামও বেরোবে। ইতিমধ্যে তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

Advertisement

এই ব্যান্ডের সদস্যদের গানটা পেশা নয়, নেশা। সকলের বন্ধুত্বও জমাটি। একসঙ্গে গান গাওয়া শুরু সেই ২০১৩ সাল থেকে। আগেও বিভিন্ন অনুষ্ঠান করেছেন দীপঙ্কররা। বাংলা গানের ব্যান্ড গড়ার স্বপ্নটাও ছিল। এতদিনে সেই স্বপ্নপূরণ হল।

বেশ কয়েক বছর হল শহর মেদিনীপুরে ব্যান্ড-সংস্কৃতির আমদানি হয়েছে। শহরে কয়েকটি বাংলা গানের ব্যান্ডও রয়েছে। কোনও ব্যান্ডের সদস্য সংখ্যা আট, কোনওটার দশ। কয়েক বছর আগে মেদিনীপুরে ‘রক কার্নিভ্যাল’ও হয়েছিল। তা সাড়াও ফেলেছিল।’ ‘সুজনবন্ধু’ অবশ্য রক সঙ্গীত নয়, শোনাবে মাটির গান। তা মানুষের মন ছুঁয়ে যাবে বলেই ব্যান্ড সদস্যদের আশা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement