তৃণমূলের নতুন-পুরনো দ্বন্দ্ব উসকে কটাক্ষ অধীরের

সবং বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চিরঞ্জিত ভৌমিকের হয়ে মঙ্গলবার প্রচার করেন অধীরবাবু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:০৮
Share:

ভোট প্রচারে তৃণমূলের নতুন-পুরনো বিতর্ক উস্কে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বুধবার সবং বিধানসভা এলাকায় কংগ্রেসের একাধিক প্রচার কর্মসূচিতে যোগ দেন তিনি। বিকেলে তেমাথানির পথসভায় অধীরবাবু বলেন, “তৃণমূলে এখন একটি নতুন শক্তি সক্রিয় হয়েছে। এরা হঠাৎ দলে ঢুকে সবকিছু আত্মসাৎ করতে চায়। এরা তৎকাল তৃণমূল। এদের দলে পড়েন মানস ভুঁইয়া। যাঁরা এতদিন লড়াই করেছেন তাঁদের মাথার ওপর এরা এসে বসেছে।”

Advertisement

সবং বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চিরঞ্জিত ভৌমিকের হয়ে মঙ্গলবার প্রচার করেন অধীরবাবু। বুধবারও সবংয়ের বিষ্ণুপুর, তেমাথানি ও বেলতলায় পথসভা করেন তিনি। এ দিন সভায় প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইয়াকে বিঁধে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘এই তেমাথানিতে তিনটি রাস্তা এসে মিশেছে। মানসবাবু কখনও কংগ্রেসের পথ ধরে তেমাথানিতে এসেছেন। কখনও তৃণমূলের পথ ধরে আসছেন। বাজার ভাল থাকলে বিজেপি পথ ধরেও তেমাথানিতে আসবেন। উনি হলেন রাজনৈতিক ধান্দাবাজ। এই রাজনৈতিক ধান্দাবাজকে প্রত্যাখ্যান করুন।”

মানস ভুঁইয়া-সহ সবংয়ের একঝাঁক কংগ্রেস নেতা তৃণমূলে আসার পর থেকেই দ্বন্দ্বেব শুরু। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসা নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শাসকদলের পুরনো কর্মীদের বিবাদ সামলাতে বেগ পেতে হচ্ছে দলের জেলা নেতৃত্বকে। প্রচারে ফের সেই বিতর্ক উসকে দিয়ে অধীরবাবু কৌশলী চাল দিলেন বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

Advertisement

আগামী শনিবার সবংয়ে সভা করবেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভার সমর্থনে বুধবার সবংয়ে পদযাত্রা করে তৃণমূল।

দলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির নেতৃত্বে পদযাত্রায় পা মেলান কলেজ ছাত্র ও আইনজীবীদের একাংশ। আজ, বৃহস্পতিবার সবংয়ে দলের বিধায়ক চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের প্রচারসভা রয়েছে। সেই সভার প্রচারও করা হয় এ দিন।

দলের জেলা সভাপতি অজিতবাবু বলেন, “সেন্ট্রাল বা ইন্টারন্যাশনাল ফোর্স যাই আসুক, মানুষ তৃণমূলকে ভোট দেবেন। বিজেপি চতুর্থস্থা নে থাকবে। আর বাংলার কয়েকজন নেতার জন্য কংগ্রেসও ক্ষয়ের পথে। মানুষ জানে কংগ্রেস এখন সিপিএমের সঙ্গে মিশে রয়েছে। তাই কংগ্রেসের নেতারা এসে যত বড়-বড় কথা বলুক মানুষ ওদের বিশ্বাস করবেন না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন