লন্ডভন্ড স্কুল পরিদর্শকের অফিস। (ইনসেটে) প্রাথমিক স্কুলে চুরির পর। নিজস্ব চিত্র
রথযাত্রা ও ইদ উপলক্ষে দু’দিন বন্ধ ছিল স্কুল পরিদর্শকের অফিস। শুক্রবার সকালে খড়্গপুর গ্রামীণের মাতকাতপুরে ওই অফিসে যেতেই দেখা যায়, ভবনের মূল দু’টি দরজার তালা ভাঙা। লন্ডভন্ড অফিসের কাগজপত্রও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে খড়্গপুর গ্রামীণ থানার পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি মেদিনীপুর সদর পশ্চিম চক্রের স্কুল পরিদর্শকের অফিসটি মাতকাতপুরে নতুন ভবনে স্থানান্তরিত হয়েছে। এরপরে গত দু’দিন ইদ উপলক্ষে ছুটি থাকায় কর্মীদের কেউ আসেননি। সেই সুযোগেই এই চুরি হয়েছে বলে ধারণা অফিসের কর্মীদের। ঘটনায় এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে
প্রশ্ন উঠেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন পুলিশ গিয়ে ভিতরে ঢুকলে দেখা যায়, অফিসের ১০টি আলমারির সবক’টির লকার ভাঙা। অভিযোগ, হিসেব মিলিয়ে দেখা যায় প্রায় ৬ হাজার টাকা ও একটি টেলিফোন চুরি গিয়েছে। অফিসের কর্মী সমরেশ মণ্ডল বলেন, “অফিসের দরজা খোলার সময়ে আমি ছাড়াও অনেক কর্মী ছিলেন। দরজা খুলতে যেতেই তালাগুলি ভাঙা রয়েছে দেখতে পাই। দু’দিন ছুটির সুযোগ নিয়ে কেউ এই কাজ করেছে বলে মনে হচ্ছে।”
অন্য দিকে, ওই অফিসের পাশেই অবস্থিত মাতকাতপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়েও চুরির ঘটনার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার স্কুলের ভিতরে ঢুকে কাগজপত্র লণ্ডভণ্ড অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন শিক্ষকেরা। অভিযোগ, হিসেব মেলানোর পর দেখা যায়, স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য সরকার থেকে আসা ২৭৮ টাকা দামের ২৫ জোড়া জুতো উধাও। অভিযোগ জানানো হয় পুলিশে। প্রধান শিক্ষক কেশবকুমার মাইতি বলেন, “আমাদের স্কুল দু’দিন ছুটি থাকলেও দ্বিতীয় দিনের ছুটির কথা পড়ুয়াদের জানা ছিল না। তাই বৃহস্পতিবার স্কুলে এসে পড়ুয়াদের সে কথা জানিয়ে গিয়েছিলাম। সেই সময় পর্যন্ত স্কুলে চুরি হয়নি। আমার ধারণা, বৃহস্পতিবার রাতেই চুরির ঘটনা ঘটেছে।” পুলিশ জানিয়েছে, সরকারি ওই কার্যালয় ও স্কুলে কী ভাবে ওই চুরি হয়েছে তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
চালু কম্প্যাক্টর। ঝাড়গ্রাম পুরসভায় চালু হল জঞ্জালের আয়তন কমানোর ভ্রাম্যমান কম্প্যাক্টর যন্ত্র। এ দিন দুপুরে পুরভবন প্রাঙ্গণে কম্প্যাক্টর যন্ত্রটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পুরপ্রধান দুর্গেশ মল্লদেব। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বচ্ছ ভারত মিশনের আওতায় কেন্দ্রের দেওয়া এই কম্প্যাক্টর যন্ত্রটি ঝাড়গ্রাম পুরসভার জন্য বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। পুরসভার জনস্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিক বংশীধর জানা বলেন, “ভ্রাম্যমান এই যন্ত্রের ধারণ ক্ষমতা আট মেট্রিক টন। ওই পরিমাণ আয়তনের আবর্জনাকে এই যন্ত্রটি তিন মেট্রিক টনে পরিণত করতে পারে।’’