অভিনব প্রচার নির্দল প্রার্থীর

পুরসভার নির্বাচনী প্রচারে এলাকার বিভিন্ন সমস্যা ও তাঁদের দাবি নিয়ে বাসিন্দাদের বক্তব্য-সহ তথ্যচিত্র তৈরি করে একাধিক গাড়িতে টিভির পর্দায় দেখিয়ে ভোট প্রচার করছে নির্দল প্রার্থী। তমলুক পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী বিশ্বজিৎ কয়ালের অভিনব এই ভোট প্রচার ঘিরে শহরে সাড়া পড়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৫ ০১:০৬
Share:

টিভিতে চোখ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তমলুকে পার্থপ্রতিম দাসের তোলা ছবি।

পুরসভার নির্বাচনী প্রচারে এলাকার বিভিন্ন সমস্যা ও তাঁদের দাবি নিয়ে বাসিন্দাদের বক্তব্য-সহ তথ্যচিত্র তৈরি করে একাধিক গাড়িতে টিভির পর্দায় দেখিয়ে ভোট প্রচার করছে নির্দল প্রার্থী। তমলুক পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী বিশ্বজিৎ কয়ালের অভিনব এই ভোট প্রচার ঘিরে শহরে সাড়া পড়েছে। মঙ্গলবার থেকে তমলুক পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে এই প্রচার গাড়ির সামনে ভিড় জমিয়েছে পথ চলতি শহরের অন্য এলাকার বাসিন্দারাও।

Advertisement

কী রয়েছে ওই নির্দল প্রার্থীর তথ্য চিত্রে?

এলাকার রাস্তাঘাট, পানীয় জল, পথবাতি, নিকাশি ব্যবস্থার হাল-হকিকত নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে সরাসরি তাঁদের বিভিন্ন সমস্যা ও তাঁর সমাধানে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তা জানতে চাওয়া হয়েছে। ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের এইসব সমস্যা সমাধানে প্রার্থী কি করতে চান তাও জানিয়েছেন। আর ওই ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। নির্দল প্রার্থী বিশ্বজিৎ কয়ালের কথায়, ‘‘জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার আগে নিজের এলাকার বাসিন্দাদের কাছে গিয়ে যে সব সমস্যার কথা জানতে পেরেছি তা এই তথ্যচিত্রে তুলে ধরা হয়েছে। আর এইসব সমস্যা সমাধানের জন্য আমার কী কী করা উচিত তাও জানতে চেয়েছি। এলাকার বাসিন্দাদের এইসব সমস্যা সমাধান করতে আমি কি করতে পারি সেই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছি। প্রার্থী হিসেবে এটা আমার দায়িত্ব।’’

Advertisement

প্রচারে অভিনবত্ব এনে শেষ পর্যন্ত জনগণেশের সমর্থন পান কি না সেটা অবশ্য দেখার।

ভোট সরঞ্জাম বিতরণ। মহকুমার ভোট কর্মীদের জন্য বিশেষ ওয়েলফেয়ার কিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে গিয়ে যাতে ভোট কর্মীদের পানীয় জলের সমস্যায় না পড়েন বা বা মশার কামড় থেকে রেহাই পান, তার জন্য এই কিট দেওয়া হয়েছে। ঘাটালের মহকুমাশাসক রাজনবীর সিংহ কাপুর বলেন, “অনেক প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে সমস্যায় পড়েন ভোটকর্মীরা। তাই তাঁদের সুবিধার্থে এই কিট দেওয়া হবে।’’ এমন সিদ্ধান্তে খুশি ভোট কর্মীরাও। সবুজ পাল নামে এক ভোটকর্মীর কথায়, ‘‘এই নিয়ে প্রায় দশবার ভোট করেছি। কিন্তু এ’রকম সরঞ্জাম কখনও পাইনি। ’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন