অভিযান ‘শিথিল’ হতেই খড়্গপুরে বাইক দৌরাত্ম্য

অভিযান ‘শিথিল’ হতেই বাড়ছে বাইক দৌরাত্ম্য! পুলিশি ধরপাকড়ে ঘুম ছুটেছিল বেপরোয়া বাইক আরোহীদের। কিন্তু দিন কয়েক ধরে ফের খড়্গপুর শহরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হেলমেটহীন বাইক আরোহীরা। শহরের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, গত পাঁচ দিন ধরে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় পুলিশের অভিযানের সংখ্যা কমে যাওয়াই এর কারণ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৬ ০১:২৩
Share:

হেলমেট ছাড়াই পথে। খড়্গপুরে রামপ্রসাদ সাউয়ের তোলা ছবি।

অভিযান ‘শিথিল’ হতেই বাড়ছে বাইক দৌরাত্ম্য!

Advertisement

পুলিশি ধরপাকড়ে ঘুম ছুটেছিল বেপরোয়া বাইক আরোহীদের। কিন্তু দিন কয়েক ধরে ফের খড়্গপুর শহরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হেলমেটহীন বাইক আরোহীরা। শহরের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, গত পাঁচ দিন ধরে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় পুলিশের অভিযানের সংখ্যা কমে যাওয়াই এর কারণ।

সোমবার সকালে গোলবাজারের জনতা মার্কেটের ব্যস্ত রাস্তা দিয়ে দ্রুত গতিতে বাইক নিয়ে যাচ্ছিলেন যুবক সুধীর যাদব। তাঁর পিছনে বসে আরো দু’জন। কারও মাথায় হেলমেট নেই। কোনও মতে বাইক দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, হেলমেট ছাড়া এ ভাবে বাইক চালালে পুলিশ ধরবে না? ভাঙা বাংলায় সুধীরের জবাব, “অনেকে ভয় দেখাচ্ছে। কিন্তু এই রাস্তা দিয়ে দশ বার গোলবাজার থেকে ইন্দা পর্যন্ত যাই। এখনও তো পুলিশ ধরেনি। যখন ধরবে, তখন দেখা যাবে। এ সব নিয়ম দু’দিনের। তার পরে...।” বলেই হাসতে হাসতে দ্রুত গতির বাইক নিয়ে চলে গেল তাঁরা।

Advertisement

শহরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশের অভিযানের পরে ছবিটা কিছুটা হলেও বদলেছিল। এখন আবার যে কে সেই। হেলমেট ছাড়াই পেট্রল পাম্পে পেট্রল বিক্রি করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে বাইকের সওয়ারি হেলমেট পরলেও বাকিদের পরার বালাই নেই। খড়্গপুরের সুভাষপল্লির বাসিন্দা ব্যবসায়ী সুভাষ বিশ্বাস বলেন, “পুলিশের উচিত, বেপরোয়া বাইক চালকদের শনাক্ত করে পাকড়াও করা।”

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হেলমেটহীন বাইক আরোহী ধরতে ধরপাকড় চলছে। বর্ষায় অভিযান চালাতে অসুবিধা হচ্ছে। শহরের গোলবাজার, খরিদা, কৌশল্যার মতো জনবহুল এলাকায় অভিযান চালানো যাচ্ছে না। কারণ ওই সমস্ত এলাকায় ধরপাকড় করতে গেলে যানজটের সৃষ্টি হতে পারে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সম্ভাবনাও রয়েছে। তাই শহরের নির্দিষ্ট কয়েকটি রাস্তার মোড় বেছে নিয়ে অভিযান চলছে।

খড়্গপুরের এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “শীঘ্রই সমস্ত পেট্রোল পাম্পে হেলমেটহীন বাইক আরোহীদের পেট্রল না দেওয়ার কথা জানিয়ে বোর্ড লাগানো হবে। নিয়মিত বিভিন্ন পেট্রল পাম্পের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এরপরেও কোনও পেট্রল পাম্প থেকে হেলমেট ছাড়া কাউকে পেট্রোল দেওয়ার অভিযোগ এলে জরিমানা করা হবে।” বেপরোয়া বাইক আরোহীদের ধরতে ১ অগস্ট থেকে শহরে ফের অভিযান শুরু হবে বলে জানান তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement