জুনপুটের জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয়েছে কিশোরীর দেহ। — নিজস্ব চিত্র।
কাঁথির জুনপুট সমুদ্র সৈকতের গোপালপুর এলাকায় ঝাউবনের ভিতর থেকে উদ্ধার হল ১৫ বছরের এক কিশোরীর হাত-পা বাঁধা দেহ। তার বাড়ি কাঁথি-২ দেশপ্রাণ ব্লকের সরদা গ্রাম পঞ্চায়েতের দূরমুঠ গ্রামে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেল নাগাদ ওই কিশোরী বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তার পর থেকে তার আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। এই ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জুনপুট থানা সূত্রে জানা গিয়েছে। কী কারণে এই খুন, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই নিয়ে পুলিশ, প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলেছে বিরোধী বিজেপি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপালপুর পর্যটন কেন্দ্র এলাকায় ঝাউবনের ভিতর থেকে রবিবার বিকেলে ওই কিশোরীর হাত-পা বাঁধা দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কী ভাবে ওই দেহ সেখানে এল, তা স্পষ্ট নয়। অন্যদিকে, মেয়ে বাড়ি ফেরেনি দেখে রবিবার বিকেলে কিশোরীর পরিবার কাঁথি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করতে যায়। সে সময় জুনপুট থানা থেকে কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধারের খবর পায় কাঁথি থানার পুলিশ। তখন ওই পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে জুনপুট থানায় হাজির হয়। তখনই মৃতার পরিচয় প্রকাশ্যে আসে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে জায়গায় কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে, তার থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে মেয়েটির বাড়ি। শনিবার বিকেল নাগাদ মেয়েটি বাড়ি থেকে বেরিয়ে মেরিন ড্রাইভের পথ ধরে গোপালপুরে গিয়েছিল বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। তবে তাকে ঘটনাস্থলেই খুন করা হয়েছিল, নাকি অন্য কোথাও খুন করে দেহ ঝাউবনে ফেলে দেওয়া হয়েছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। জুনপুট কোস্টাল থানা সূত্রে খবর, সোমবার কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে কিশোরীর দেহের ময়নাতদন্তের পরে দেহটি তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে শাসকদল ও পুলিশকে আক্রমণ করেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি অসীম মিশ্র বলেন, “ওই এলাকায় সমাজবিরোধীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। পুলিশ ওখানে শুধু টাকা তোলার কাজ করে। সমাজবিরোধীরা যে চোরাচালান করে, তা দেখেও উদাসীন পুলিশ-প্রশাসন। সমাজবিরোধীদের দৌরাত্ম্য কতটা বেড়েছে, এই কিশোরীর হাত-পা বাঁধা দেহ উদ্ধারই তার প্রমাণ।’’
কাঁথির এসডিপিও দিবাকর দাস জানিয়েছেন, এই ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মৃত্যুর নেপথ্যে প্রণয়ঘটিত কারণ রয়েছে।