ফাইল চিত্র।
আজ, শুক্রবার কলকাতায় তৃণমূলের । কর্মী-সমর্থকদের সভাস্থলে যাওয়ার জন্য বেশিরভাগ বাসই তুলে নিয়েছে তৃণমূল। তাই এক দিন আগে থেকেই দুর্ভোগ শুরু হয়ে গেল জেলায়।
বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর বাসস্ট্যান্ডে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলেন স্বপন পাল। বিকেলের বাসে বেলদা ফেরার কথা ছিল তাঁর। অবশ্য মেদিনীপুর থেকে বাস পাননি। স্বপনবাবু বলছিলেন, “মেদিনীপুর থেকে আর বাস পাওয়া যাবে না বলে শুনছি। এখন ট্রেনে খড়্গপুর যাব। তারপর সেখান থেকে যদি বেলদার বাস পাই।” নিত্যযাত্রীদের দুর্ভোগের কথা মানছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মৃগাঙ্ক মাইতি। মৃগাঙ্কবাবুর কথায়, “অনেক বাস তুলে নেওয়া হয়েছে। তাই নিত্যযাত্রীরা সমস্যায় পড়েছেন।’’
পশ্চিম মেদিনীপুরের উপর দিয়ে দিনে প্রায় ৮০০ বাস চলাচল করে। বাস মালিক সংগঠন সূত্রে খবর, সমাবেশের জন্য ৬৫০- রও বেশি বাস তুলে নিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতিরও স্বীকারোক্তি, “জেলায় ৬০০ বাস ভাড়া করা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকার কর্মী- সমর্থকেরা বাসে করে কলকাতার সমাবেশে যাবেন। স্বসহায়ক দলের সদস্য, ক্লাবের সদস্যদেরও বাসে করে সমাবেশে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’ জেলা থেকে দেড় লক্ষ মানুষ একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
এই পরিস্থিতিতে প্রমাদ গুনছেন নিত্যযাত্রীরা। তাঁদের আশঙ্কা আজ, শুক্রবার দুর্ভোগ চরম আকার নেবে। রোজ বাসেই স্কুলে যান ফাল্গুনী প্রধান, সায়ন্তী মান্না, পারমিতা খামরইয়ের মতো শিক্ষিকারা। পারমিতাদেবী বলছিলেন, “শুক্রবার জেলায় বাস খুব কম থাকবে বলেই শুনেছি। জানি না কী ভাবে স্কুলে যাব।” সায়ন্তীদেবী, ফাল্গুনীদেবীরা মানছেন, “যোগাযোগের মূল মাধ্যম বাস। ফলে, বাস না থাকলে সমস্যা হবেই।’’ তৃণমূল সূত্রে খবর, জেলার বিভিন্ন এলাকায় ছ’শোর বেশি ছোট গাড়ি ভাড়া করা হয়েছে। ট্রেনেও প্রচুর কর্মী- সমর্থক সমাবেশে যাবেন।