Coronavirus

অনিয়ম, নমুনা ফেরত পাঠাল নাইসেড 

যথাযথ নিয়ম মেনে সংগ্রহ না করায় পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা বিদেশ ফেরত দু’জনের লালারসের নমুনা ফেরত পাঠিয়ে দিল কেন্দ্রীয় গবেষণা সংস্থা নাইসেড (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কলেরা অ্যান্ড এন্টেরিক ডিজিজেস) ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২০ ০২:৩৩
Share:

প্রতীকী ছবি

রীতিমতো বাছাই করে একান্ত সন্দেহভাজনদের লালারসের নমুনা করোনা-পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু সেই নমুনা সংগ্রহেও থেকে যাচ্ছে গলদ!

Advertisement

যথাযথ নিয়ম মেনে সংগ্রহ না করায় পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা বিদেশ ফেরত দু’জনের লালারসের নমুনা ফেরত পাঠিয়ে দিল কেন্দ্রীয় গবেষণা সংস্থা নাইসেড (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কলেরা অ্যান্ড এন্টেরিক ডিজিজেস) । জেলার স্বাস্থ্য ভবনকে নাইসেড জানিয়ে দিয়েছে, ওই নমুনা তারা পরীক্ষা করতে পারবে না। ঘটনায় অস্বস্তিতে জেলার স্বাস্থ্য ভবন৷

জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক মানছেন, ‘‘এ ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। যথাযথ নিয়ম মেনেই ওই নমুনা পাঠানো উচিত ছিল।’’ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, ‘‘বিষয়টি দেখছি। আর নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে কিছু নতুন নিয়মবিধি এসেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মীদের সতর্ক করা হয়েছে।’’

Advertisement

জেলার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, করোনা-পরীক্ষার জন্য এখনও পর্যন্ত পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে চারজনের নমুনা নাইসেডে পাঠানো হয়েছে। ওই চারজনের করোনা- সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছিল চিকিৎসকদের। আগের পাঠানো দু’টি নমুনার পরীক্ষা হয়েছিল। রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। গত রবিবার আরও দু’জনের নমুনা পাঠানো হয়েছিল। ওই নমুনাই ফেরত পাঠিয়েছে নাইসেড। তারা জানিয়েছে, যে নির্দেশিকা মেনে নমুনা পাঠানোর কথা ছিল এক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। স্বাস্থ্য দফতরের এক সূত্রে খবর, যে দু’জনের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছিল, তাঁরা সপ্তাহ দুয়েক আগে বিদেশ থেকে ফিরেছেন।

করোনা-পরীক্ষার জন্য জেলা থেকে সন্দেহভাজনের নমুনা সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় সংস্থা নাইসেডে পাঠানো হয়। জেলার স্বাস্থ্য ভবনের এক সূত্র জানাচ্ছে, সম্প্রতি করোনা- পরীক্ষার (কোভিড- ১৯) ক্ষেত্রে নমুনা সংগ্রহে নতুন নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি ক্ষেত্রেই নতুন নিয়মে নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো যেতে পারে। প্রথমত, যে সব ব্যক্তি ১৪ দিনের মধ্যে বিদেশ ভ্রমণ করেছেন এবং সর্দি, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ রয়েছে, তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা যেতে পারে। দ্বিতীয়ত, করোনা-পজিটিভ রোগীর সরাসরি সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের, যাঁদের ওই সব উপসর্গ দেখা দিয়েছে, তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা যেতে পারে। তৃতীয়ত, উপসর্গ রয়েছে যেমন স্বাস্থ্যকর্মী এবং চিকিৎসকের নমুনা সংগ্রহ করা যেতে পারে। এমনকি, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ব্যক্তি, যাঁর কোনও উপসর্গ নেই, তাঁরও নমুনা সংগ্রহ করা যেতে পারে।

জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক মানছেন, ‘‘নমুনা সংগ্রহের কয়েকটি মাপকাঠি বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ওই দুই নমুনা সেই মাপকাঠিতে পড়েনি।’’ জেলার স্বাস্থ্য ভবনকে জানানো হয়েছে, ঠিকঠাক উপসর্গ না থাকলে কোনও নমুনা পরীক্ষা হবে না। যদিও জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের যুক্তি, ‘‘কখনও কখনও আতঙ্কের কারণে সন্দেহ পুরোপুরি দূর করার জন্যও নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠাতে হয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন