Coronavirus

আলুর খোঁজে হন্যে স্কুল

সরকারি নির্দেশে জানানো হয়েছে, স্কুলগুলি খোলাবাজার থেকে ১৮ টাকা কেজি দরে আলু কিনতে পারে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২০ ০১:৩৮
Share:

ফাইল চিত্র

করোনা আতঙ্কের আবহে সরকারি নির্দেশ জারি হয়েছে। মিড ডে মিলের উপভোক্তা পড়ুয়াদের মধ্যে বিলি করতে হবে চাল, আলু। পড়ুয়া পিছু বিলি করতে হবে ২ কেজি চাল এবং ২ কেজি আলু। স্কুলে চাল আসবে সরকারের ঘর থেকেই। কিন্তু স্কুলকে আলু কিনতে হবে খোলাবাজার থেকেই। আলু কেনার জন্য মিড ডে মিলের তহবিল ব্যবহার করতে পারবে স্কুল। শনিবার থেকেই সব স্কুলে চাল-আলু বিলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি নির্দেশ পেয়ে আলুর খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরছেন স্কুলের প্রতিনিধিরা। খোঁজ নিয়ে জানা যাচ্ছে, আলু জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে অনেক স্কুলই। কোনও কোনও স্কুল ব্যবসায়ীদের কাছে না পেয়ে আলুর জন্য সরাসরি হিমঘরে যোগাযোগ করছে!

Advertisement

সরকারি নির্দেশে জানানো হয়েছে, স্কুলগুলি খোলাবাজার থেকে ১৮ টাকা কেজি দরে আলু কিনতে পারে। এর বেশি টাকায় নয়। গোল বেঁধেছে এখানেও। একাংশ স্কুলের দাবি, কেজি প্রতি ১৮ টাকায় আলু অনেক ব্যবসায়ীই দিতে চাইছেন না। তাঁরা ন্যূনতম ২০ টাকা চাইছেন। ব্যবসায়ীদের একাংশের যুক্তি, করোনা আতঙ্কে আলু ক্রমশ মহার্ঘ্য হয়ে উঠছে! চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু জোগান বাড়েনি। ফলে দাম বাড়ছে। শনিবারই মেদিনীপুরের বাজারে আলু বিক্রি হয়েছে ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে। অথচ, গত সপ্তাহেও বাজারে আলুর দাম ছিল কেজি প্রতি ১৬-১৮ টাকা।

কেশপুরের ঝেঁতল্যা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক নারায়ণপ্রসাদ চৌধুরী বলছিলেন, ‘‘স্কুলে চাল রয়েছে। আলু কিনতে হবে। আলু পাচ্ছি না। ১৮ টাকা দরে কেউ আলু দিতে চাইছেন না। কেজি প্রতি কমপক্ষে ২০ টাকা চাইছেন। কিন্তু সরকারি নির্দেশেই বলা রয়েছে, ১৮ টাকা দরেই আলু কিনতে হবে। কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। দেখি কী হয়!’’ শালবনির জয়পুর হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত মণ্ডল বলছিলেন, ‘‘চাল নিয়ে সমস্যা নেই। সমস্যা আলু নিয়েই। আলু জোগাড় করার সব রকম চেষ্টা চলছে। সরকার নির্ধারিত দামের থেকে বেশি দামে তো আলু কেনাও যাবে না। আলুর জন্য এক হিমঘরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। স্কুলের জন্য কত পরিমাণ আলু প্রয়োজন, ওই হিমঘরকে জানিয়েছি। ’’

Advertisement

জেলায় মিড ডে মিলের উপভোক্তার সংখ্যা কম নয়। প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ারাই মিড ডে মিলের উপভোক্তা। প্রশাসন সূত্রে খবর, সমস্ত স্কুলে চাল, আলু বিলি সংক্রান্ত নির্দেশিকা পৌঁছনো হয়েছে। প্রয়োজনে ব্লক প্রশাসন, পুলিশের সহযোগিতা নিতে হবে। বিতরণের সময়ে এক জায়গায় অনেকজনকে একত্রিত করা যাবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন