মাস্ক আছে। তবে হাত খালি মিষ্টির দোকানের কর্মীর। ঝাড়গ্রামে। —নিজস্ব চিত্র
রাতের খাওয়ার শেষ পাতে মিষ্টি না হলে চলে না অনেকেরই। চৈত্র-বৈশাখের দুপুরে লাল মিষ্টি দইও অনেকের প্রিয়। টানা লকডাউনের জেরে সেই মিষ্টি-সুখ ভুলতে বসেছিল বাঙালি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গত মঙ্গলবার থেকে দিনে চার ঘণ্টার জন্য কিছু মিষ্টির দোকান খোলা হচ্ছে অরণ্যশহরে। কিন্তু সেই মিষ্টি কতটা নিরাপদ তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন ক্রেতাদের একাংশ। কারণ, এখন ঝাড়গ্রাম শহরে হাতেগোনা যে ক’টা মিষ্টির দোকান খোলা হচ্ছে, সেখানে মিষ্টি তৈরিতে উপযুক্ত স্বাস্থ্যবিধি কতটা মানা হচ্ছে তা নজরদারি করার মতো পরিস্থিতি এখন নেই।
দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত মিষ্টির দোকান খোলা থাকছে। এই চার ঘণ্টার মধ্যে খুব বেশি লোকজনও মিষ্টি কিনতে আসছেন না। তাই ঝাড়গ্রাম শহরে ছোট-বড় মিলিয়ে ১১২টি মিষ্টির দোকানের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটি দোকানই খোলা হচ্ছে। সেই দোকানগুলির কর্মী ও কারিগরেদের অনেকেই মুখে মাস্ক পরলেও হাতে গ্লাভস পরছেন এমন সংখ্যা খুবই কম। দোকান-মালিকদের বক্তব্য, বাজারে গ্লাভস অমিল।
শহরের জামদা এলাকার একটি মিষ্টির দোকানের মালিক শুভাশিস কুণ্ডু জানান, ঝাড়গ্রামের কোনও ওষুধ দোকানে গ্লাভস পাওয়া যাচ্ছে না। তাই কারিগরেরা হাত ভাল করে সাবান দিয়ে ধুয়ে ও স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার করে মিষ্টি বানাচ্ছেন। কর্মীরা বিক্রির সময়ে হাতে স্যানিটাইজার মেখে তবেই মিষ্টি প্যাকেটে ভরছেন। শহরের কলেজ মোড়ের একটি দোকানের কর্মীরা অবশ্য মাস্ক, গ্লাভস ও হেডক্যাপ পরে মিষ্টি বিক্রি করছেন। আরেকটি দোকানে আবার ক্রেতাদের স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করিয়ে কচুরি-মিষ্টি খেতে দেওয়া হচ্ছে। কয়েকটি মিষ্টির দোকানে গিয়ে আশঙ্কার ছবিও দেখা গিয়েছে। সেখানে ট্রে থেকে সরাসরি হাতে করে মিষ্টি তুলে প্যাকেটবন্দি করছেন কর্মীরা। ক্রেতাদেরও এ ব্যাপারে হোলদোল নেই।
ঝাড়গ্রাম পুরসভার প্রশাসক সুবর্ণ রায় বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের তরফ থেকে স্বাস্থ্যকর্মী ও সাফাই কর্মীদের জন্য গ্লাভস পাঠানো হয়েছিল। এখন পুরসভার কাছে আর কোনও গ্লাভস নেই। তবে মিষ্টির দোকানগুলিকে স্যানিটাইজার দেওয়া হবে। গ্লাভসের জন্য মিষ্টির দোকানগুলি স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।’’
অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।