Coronavirus

সৈকতে সূর্যোদয় দেখেই হোটেলবন্দি পর্যটকেরা

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে দিঘা সৈকতের ধারে বেশ কয়েকজন পর্যটক ঘুরতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে কর্তব্যরত দিঘা উপকূল থানার পুলিশ ওই পর্যটকদের হোটেলে ফিরে যেতে বলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দিঘা শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২০ ০২:২৬
Share:

ফাইল চিত্র

‘ফণী’ বা ‘বুলবুল’-এর মতো ঘূর্ণিঝড়ও দিঘা-মন্দরমণি- তাজপুরের মতো সৈকত এলাকায় বেড়াতে আসায় পর্যটকদের উৎসাহকে দমাতে পারেনি। কিন্তু, করোনা সর্কতায় সেই ছবিটাই একেবারে উধাও রবিবার। জনতার কার্ফুর কারণে এদিন সকাল থেকেই বন্ধ ছিল বাজার, দোকানপাট। সমুদ্রের পাড়েও দেখা যায়নি পর্যটকদের। কিছু পর্যটক থাকলেও তাঁরা সকলেই হোটেলবন্দি হয়ে ছিলেন।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে দিঘা সৈকতের ধারে বেশ কয়েকজন পর্যটক ঘুরতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে কর্তব্যরত দিঘা উপকূল থানার পুলিশ ওই পর্যটকদের হোটেলে ফিরে যেতে বলেন। তারপর থেকে আর সৈকতে কেউ ভিড় করেননি। এদিন দিনভর ওল্ড এবং নিউ দিঘা ছিল একেবারে সুনসান। বেশ কিছুক্ষণ অন্তর এক আধটা সরকারি বাস ছাড়া কোনও যানবাহন চোখে পড়েনি। দিঘা লাগোয়া এলাকার মানুষজনও ছিলেন কার্যত ঘরবন্দি। একই রকম পরিস্থিতি ছিল মন্দারমণি এবং তাজপুরে। মন্দারমণির এক হোটেল ব্যবসায়ী মৃণ্ময় মান্না বলেন, ‘‘গত সপ্তাহ থেকেই পর্যটকেরা হোটেল বুকিং বাতিল করেছিলেন। গত শুক্রবার থেকে বাকি পর্যটকরাও আগামী দেড় দু’সপ্তাহ মন্দারমণি বেড়াতে আসবেন না বলে ফোনে জানিয়ে দিয়েছেন।’’ একেবারেই পর্যটক ছিল না আরেক পর্যটনকেন্দ্র তাজপুরে। সেখানে প্রায় গোটা পঞ্চাশেক হোটেলে শুধুমাত্র হাতেগোনা কয়েকজন কর্মচারী ছিলেন। গত কয়েকদিন ধরে কোনও পর্যটক আসেননি বলে হোটেল মালিকেরা জানান।

দিঘা হোটেল মালিক সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দিঘায় কয়েকদিন ধরে পর্যটকদের জমায়েত নিষিদ্ধ করেছিল জেলা প্রশাসন। ওই আবেদনে পর্যটকেরা যে ভাবে সাড়া দিয়েছেন তাতে আমরা কৃতজ্ঞ। এতে ব্যবসার ক্ষতি হলেও সবার আগে জরুরি নিরাপত্তা। তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত দিঘায় এরকম চললে অবাক হওয়ার কিছু নেই।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন