প্রতীকী ছবি
প্রধানমন্ত্রীর জনতা কার্ফুর দিন দুবাই থেকে হলদিয়ায় ফেরা এক যুবককে নিয়ে শোরগোল পড়ল। করোনার ভয়ে ওই যুবকের এলাকায় ঢোকার বিরোধিতা করেন প্রতিবেশীরা। শেষ পর্যন্ত পুলিশের সহায়তায় তাঁকে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে কবর, ওই যুবক আদতে মালদহের বাসিন্দা। তিনি হলদিয়ায় পরিবার-সহ ঘরভাড়া নিয়ে থাকেন। কাজের সূত্রে তাঁকে দুবাইয়ে যেতে হয়েছিল। দুবাই থেকেই তিনি ফিরে আসেন রবিবার। ওই যুবক দাবি করেন, এয়ারপোর্টে তাঁর করোনা সংক্রান্ত সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। তবে তাঁর মধ্যে এই রোগের কোনও উপসর্গ দেখা যায়নি। হলদিয়ায় ফিরেই হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে তিনি পরীক্ষা করান। কিন্তু সেখানেও করোনা উপসর্গের দেখা মেলেনি। হলদিয়া টাউনশিপে ফিরে এলে এলাকার লোকজন তাঁকে পাড়ায় ঢুকতে দেননি। স্থানীয়দের চাপেই তিনি ফের পরীক্ষা করান হলদিয়া বন্দর হাসপাতালে। সেখানে করোনা উপসর্গের দেখা না মিললেও তাঁকে হোম কোয়রান্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে ওই যুবক যে বাড়িতে ভাড়া থাকেন সেখানে একটি ঘরেই পরিবার নিয়ে তাঁকে থাকতে হয়। সে ক্ষেত্রে নিজের বাড়িতে হোম কোয়রান্টিনে থাকা সম্ভব নয় বলে জানার পর হলদিয়া টাউনশিপ পুলিশ ফাঁড়ির উদ্যোগে একটি গাড়ি করে ওই যুবককে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের হোম কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়।