Health

করোনা যুদ্ধে প্রস্তুত দুই নার্সিংহোমও

সোমবার ঘাটাল শহরের কুশপাতার একটি নার্সিংহোমে দু’জন পর্যবেক্ষণে থাকা রোগীকে রাখা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২০ ০০:৩৪
Share:

ফাইল চিত্র।

করোনা মোকাবিলায় বেসরকারি চিকিৎসা পরিকাঠামোকেও ব্যবহার করছে সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশমতো জেলায় জেলায় প্রস্তুত করা হচ্ছে বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলিকে। সেই মতো এ বার সরকারি কোয়রান্টিন কেন্দ্র গড়া হল ঘাটাল শহরের দু’টি নার্সিংহোমে। অপেক্ষাকৃত ফাঁকা এলাকার নার্সিংহোমগুলি এ ক্ষেত্রে প্রথমে বাছা হচ্ছে।

Advertisement

সোমবার ঘাটাল শহরের কুশপাতার একটি নার্সিংহোমে দু’জন পর্যবেক্ষণে থাকা রোগীকে রাখা হয়েছে। অন্য নার্সিংহোমটিতে এখনও কাউকে পাঠানো হয়নি। তবে মহকুমা প্রশাসনের তরফে সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আর যেন কোনও রোগী ভর্তি না নেওয়া হয়। ওই নার্সিংহোম দু’টিতে যে রোগীরা ভর্তি ছিলেন, হয় তাঁদের ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে, নাহলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে অন্য নার্সিংহোমে। ছুটি দেওয়া হয়েছে নার্সিংহোমের কর্মীদেরও। সরকারি কোয়ারান্টিন কেন্দ্র হওয়ায় এখন সেখানে দায়িত্ব পালন করবেন ঘাটাল হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ।

ঘাটালের মহকুমাশাসক অসীম পাল বলেন, “নার্সিংহোম গুলোতে ১৪ দিন সরকারি নজরদারিতে থাকবেন রোগীরা। এখানে কোনও করোনা চিকিৎসা হবে না। মূলত ঘাটাল শহরের বাসিন্দাদেরই এখানে রাখা হবে। প্রয়োজনে শহরের অন্য নার্সিংহোমও নেওয়া হতে পারে। নার্সিংহোম সংগঠনকে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

Advertisement

মহকুমা প্রশাসন সূত্রে খবর, ঘাটাল শহরের ২৭টি নার্সিংহোম রয়েছে। কোয়রান্টিন কেন্দ্রের জন্য আগেই শহরের নার্সিংহোমগুলির কাছে শয্যা চাওয়া হয়েছিল। বিক্ষিপ্ত ভাবে বেশ কিছু নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ৪০টির মতো শয্যা দিয়েছেন। শয্যাগুলি ঘাটাল অরবিন্দ স্টেডিয়ামে কোয়রান্টিন কেন্দ্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।

কোয়রান্টিন কেন্দ্র গড়তে নেওয়া নার্সিংহোমে কোনও করোনা রোগীর চিকিৎসা হবে না। এখানে মূলত ভিন্ রাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিক বা সন্দেহভাজন রোগীদের ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এ দিন একটি নার্সিংহোমে ঘাটাল শহরের যে দুই যুবককে পাঠানো হয়েছে, তাঁদের কয়েকদিন আগে করোনা সন্দেহে ঘাটাল হাসপাতাল থেকে মেদিনীপুরে পাঠানো হয়েছিল। তাঁদের রিপোর্ট অবশ্য নেগেটিভ এসেছে। তাই এখন তারা পর্যবেক্ষণে থাকবেন। ঘাটাল সুপার স্পেশ্যালিটির চিকিৎসকেরা এই রোগীদের দিনে তিনবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন। শরীরের তাপমাত্রা-সহ যাবতীয় তথ্য নথিভূক্ত করা হবে। এঁদের খাওয়াদাওয়ার দায়িত্ব নেবে প্রশাসন।

নার্সিংহোমগুলি যাতে নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয় সেই দায়িত্ব ঘাটাল পুরসভাকে দেওয়া হয়েছে। ঘাটালের পুরপ্রধান বিভাস ঘোষ বলেন, “শহরের যে নার্সিংহোমে সরকারি কোয়রান্টিন কেন্দ্র করা হয়েছে, সেখানে পুরসভার সাফাই কর্মীরা প্রতিদিন সাফাইয়ের কাজ করবেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন