সংক্রমণ বাড়লেও হুঁশ ফেরেনি, প্রচারে প্রশাসন
Coronavirus

করোনা বিধি উধাও, জমে উঠল বাজার

এ দিন পটাশপুর বাজারে যেমন ভিড় ছিল। তেমনই দেখা গিয়েছে দোকানে লোকজনের আড্ডা দিতে। জরুরী পরিষেবার আওতায় না থাকলেও খোলা থাকতে দেখা গেল প্রসাধনী দ্রব্যের দোকান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পটাশপুর শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২০ ০৪:১০
Share:

সতর্কতা বিধি উড়িয়েই চলছে কেনাকাটা। মঙ্গলবার পটাশপুর মোড়ের বাজারে। নিজস্ব চিত্র

করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকারের ঘোষিত লকডাউনে তেমন ভাবে গুরুত্ব দেয়নি এগরাবাসী। নির্দেশকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দোকান বাজারে ছিল অবাধ জমায়েত। পুলিশ প্রশাসনের অভিযানেও কাজ হয়নি। কিন্তু বিয়েবাড়িতে করোনা সংক্রমিত হওয়ার ঘটনায় দুয়ারে বিপদ বুঝে এখন ঘরবন্দি এগরাবাসী। অথচ এগরার ঘটনায় পটাশপুর, ভগবানের মানুষ যে কোনও শিক্ষাই নেননি মঙ্গলবার দেখা গেল দুই জায়গাতেই।

Advertisement

এ দিন পটাশপুর বাজারে যেমন ভিড় ছিল। তেমনই দেখা গিয়েছে দোকানে লোকজনের আড্ডা দিতে। জরুরী পরিষেবার আওতায় না থাকলেও খোলা থাকতে দেখা গেল প্রসাধনী দ্রব্যের দোকান। সচেতন নাগকিদের অভিযোগ, সব দেখেও নির্বাক পুলিশ-প্রশাসন।

গত ২২ মার্চ দেশে একদিনের জনতা কার্ফু ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। করোনা মহামারীর গুরুত্ব বুঝে গত ২৪ মার্চ বিকেল থেকে রাজ্য জুড়ে জরুরি ভিত্তিতে লকডাউন ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিস্থিতির ভয়াবহতা দেখে সেই লকডাউন আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত গোটা ভারতে কার্যকর করেছেন প্রধানমন্ত্রী। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লকডাউনে মানুষকে ঘরবন্দি থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হয়। নির্দেশ অমান্যকারীদের গ্রেফতার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু তারপরেও লোকজনদের রাস্তায় বের হওয়া আটকানো যায়নি। তবে এগরার ঘটনার পরে সেখানকার মানুষজন অনেক সতর্ক। আগের চেয়ে লোকজন লোকজন রাস্তায় প্রায় নেই বললেই চলে। অথচ লাগোয়া পটাশপুর, ভগবানপুর সেই সচেতনতার লেশমাত্র পাওয়া গেল না।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে খবর, এগরায় ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত পটাশপুর এবং ভগবানপুরের বেশ কয়েকজন ব্যক্তিও ছিলেন। পটাশপুর থেকে এগরা মাত্র বারো কিলোমিটার দূরে। ফলে সংক্রমণ ছড়ানোর প্রভূত সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু তারপরেও পটাশপুরের দোকান বাজারে চলছে দেদার মানুষের জমায়েত থেকে আড্ডা। বিন্দুমাত্র মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্বের বিধিনিষেধ। হাট-বাজার গুলিতে ঠাসাঠাসি করে মানুষ বাজার করছে। খোলা থাকছে প্রসাধনী থেকে বৈদ্যুতিন এমনকী চা- পান-সিগারেটের দোকানও। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশ থাকলেও তারা নিষ্ক্রিয়। তাঁদের আশঙ্কা এভাবে চললে এলাকায় করোনা সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়বে। অবিলম্বে এ ব্যাপারে কড়া পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়াহ দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

এগরার মহকুমা পুলিশ অফিসার শেখ আখতার আলি বলেন, ‘‘পুলিশ সব জায়গায় মোতায়েন রয়েছে। ঠিক কোন কোন জায়গায় এই ধরনের সমস্যা হচ্ছে খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’

অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন