ফাইল চিত্র।
দাদা শুভেন্দু অধিকারী এবং ভাই সৌমেন্দুর পথ অনুসর করেই একে একে বিভিন্ন দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিতে শুরু করলেন অধিকারী পরিবারের আরেক সদস্য দিব্যেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের আটটি হাসপাতালের রোগী কল্যান সমিতির সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। তা হলে কি এবার দাদা-ভাইয়ের মতো জোড়াফুল শিবির ছেড়ে পদ্ম পাতায় আশ্রয় নিতে চলেছেন দিব্যেন্দু— জেলার রাজনৈতিক মহলে বেড়ে গেল সেই জল্পনা।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডলের কাছে একটি চিঠি দিয়েছেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু। তাতে তিনি কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল, হলদিয়া মহকুমা হাসপাতাল, তমলুকের দুটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, কোলাঘাটের দুটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের দুটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। ওই পদগুলিতে তিনি রাজ্য সরকারের মনোনীত পদে ছিলেন তিনি। এ ব্যাপারে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘ওঁর ইস্তফার চিঠি পেয়েছি। সেটি রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকেই পরবর্তী সিদ্ধান্তজানানো হবে।’’
গত বছর ডিসেম্বরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তার সপ্তাহ দুয়েক পর কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে সৌমেন্দু অধিকারীকে সরিয়ে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। পরে তিনিও যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। দু’জনেই দলবদলের আগে সরকার মনোনীত একাধিক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। সম্প্রতি দিব্যেন্দুকে পূর্ব মেদিনীপুরের তিনটি কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল উচ্চ শিক্ষা দফতর। তার পরেই রোগী কল্যাণ সমিতির সরকার মনোনীত পদ ছেড়েছেন দিব্যেন্দু। তবে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের সরকার মনোনীত আরেকটি সদস্য পদে এখনও দিব্যেন্দু ছাড়েননি বলে এইচডিএ সূত্রের খবর।
আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি হলদিয়াতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পরেই আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি দিল্লি যাওয়ার কথা রয়েছে দিব্যেন্দুর। পরদিন ১০ ফেব্রুয়ারি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে দিব্যেন্দুর সাক্ষাৎ হতে পারে বলে জল্পনা শোনা যাচ্ছে। এমন আবহে দিব্যেন্দুর সরকার মনোনীত পদ ছাড়াতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কি দলবদলের ছাপ পড়তে চলেছে দিব্যেন্দুর গায়েও। এ ব্যাপারে দিব্যেন্দু প্রতিক্রিয়া জানতে একাধিকবার ফোন করা হয় তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দুকে। তবে তিনি ফোন ধরেননি।