রান্নায় তাল কাটলেও মান রাখল ঐতিহ্যের গয়না বড়ি

শুক্রবার বিকেলে মেদিনীপুর আর্ট অ্যাকাডেমির আয়োজনে বিদ্যাসাগর হল প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে তিন দিনের খাদ্য উৎসব।

Advertisement

সৌমেশ্বর মণ্ডল

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:২০
Share:

রাঁধুনি: খাদ্য উৎসবে টেলি-তারকা সুদীপা। নিজস্ব চিত্র

অপেক্ষা ছিল, ছিল উৎসাহও। তবে তার-বিভ্রাটে তাল কাটল খাদ্য উৎসবের প্রতিযোগিতায়।

Advertisement

শুক্রবার বিকেলে মেদিনীপুর আর্ট অ্যাকাডেমির আয়োজনে বিদ্যাসাগর হল প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে তিন দিনের খাদ্য উৎসব। প্রথম দিনই ছিল রান্না ও গয়না বড়ি দেওয়ার প্রতিযোগিতা। কিন্তু বৈদ্যুতিক তারের সমস্যায় রান্না বিভাগের কয়েকজন প্রতিযোগীর ইন্ডাকশন ওভেন নিভে যায়। রাঁধতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন তাঁরা। অবশ্য উৎসাহ দেখে প্রতিযোগীদের সকলকে কলকাতায় একটি টিভি চ্যানেলে রান্নার অনুষ্ঠানের অডিশনে যোগ দেওয়ার সুযোগ করে দেন টেলি-তারকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায়।

এ দিন খাদ্য উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অতিথি ছিলেন সুদীপা। রান্না ও গয়না বড়ি দেওয়ার প্রতিযোগিতা ঠিকমতোই শুরু হয়েছিল। সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ২০ মিনিট। বড়ি দেওয়ার প্রতিযোগিতা যথাযথ ভাবে এগোলেও রান্নার প্রতিযোগিতায় বাধ সাধে বৈদ্যুতিক তারের সমস্যা। প্রতিযোগীদের একাংশ ক্ষুব্ধ হন। মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা মুনমুন নাগ বলছিলেন, ‘‘কলকাতায় অডিশনে গিয়ে লাভ কী। তার থেকে প্রতিযোগিতায় স্থান পাওয়া অনেক সম্মানের।’’ খাপ্রেলবাজারের বাসিন্দা সৃজিতা ভকতের কথায়, ‘‘প্রতিযোগিতায় অন্যের রান্না দেখে অনেক কিছু শেখার সুযোগ থাকে। তাছাড়া প্রতিযোগিতা সুষ্ঠু ভাবে হয়ে সেখান থেকে র‍্যাঙ্কিং হলেই ভাল হতো।’’ আয়োজক সংস্থার পক্ষ থেকে রাজীব দাস বলেন, ‘‘সাবাই রান্না করতে পারলেই ভাল হত। বৈদ্যুতিক তারের সমস্যায় সেটা হয়নি।’’

Advertisement

গয়না বড়ি দেওয়ার প্রতিযোগিতায় মোট ৫৪জন যোগ দেন। ঘাটাল, চন্দ্রকোনা, খড়গপুর, পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না, পাঁশকুড়া থেকেও প্রতিযোগীরা এসেছিলেন। ফুলের মুকুট, গলার হার, কানের পাশা-সহ নানা ধরনের গয়নার ছবি ফুটে ওঠে বড়িতে। এই প্রতিযোগিতায় ১০ জন নির্বাচিত হয়েছেন। এঁরা কলকাতায় অডিশনে যাবেন। সুক্ষতার বিচারে সেরা হয়েছেন দাঁতনের মৌসুমি পাল।

একমাত্র পুরুষ প্রতিযোগী পিংলার পুরুষোত্তমপুরের বাসিন্দা লক্ষ্মীপুয়াড়া হাইস্কুলের শিক্ষক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘ছোটবেলায় মা-কাকিমার কাছে বড়ি দেওয়া শিখেছি। এখনোও বড়ি দিই। প্রতিযোগিতায় এসেছিলাম নানা ধরনের কারুকাজ দেখতে।’’ বিশ্বজিৎবাবুও কলকাতার অডিশনে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।

বাড়িতে কীভাবে সুস্বাদু বিরিয়ানি রান্না করা যায়, তা রেঁধে দেখিয়েছেন সুদীপা। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, গয়না বড়ি নিয়ে তিনি খুবই আশাবাদী। সুদীপার কথায়, ‘‘গয়না বড়ি মেদিনীপুরের ঐতিয্য। যথাযথ বিপণম করতে পারলে এই শিল্প বেঁচে থাকবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন