লকডাউনের সুযোগে বন্ধ স্কুলেই মুরগি চাষ, মিলল মদের বোতলও  

লকডাউনের জেরে মার্চের শেষ থেকে বন্ধ রয়েছে স্কুল। সেই সুযোগে স্কুল ঘরের ভেতর আস্ত মুরগির ফার্ম খুলে বসেছেন ওই স্কুলেরই অবসরপ্রাপ্ত এক কর্মী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

নন্দকুমার শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২০ ১৫:২২
Share:

স্কুলের ভিতরেই মুরগি প্রতিপালন। নিজস্ব চিত্র।

লকডাউনের জেরে মার্চের শেষ থেকে বন্ধ রয়েছে স্কুল। সেই সুযোগে স্কুল ঘরের ভেতর আস্ত মুরগির ফার্ম খুলে বসেছেন ওই স্কুলেরই অবসরপ্রাপ্ত এক কর্মী। শুধু তাই নয়, স্কুল চত্বরে বসছে মদের আসরও। এমনই অভিযোগ ঘিরে সরগরম পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার থানার দক্ষিণ হাটগেছিয়া গ্রাম।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দক্ষিণ হাটগেছিয়া পান্ডববসান কানাইলাল বিদ্যামন্দির স্কুলে অবৈধ ভাবে মুরগি চাষ করা হচ্ছে। সেই কাজে স্কুলের বিদ্যুৎ এবং মিড-ডে মিলের চালও ব্যবহার করা হচ্ছে। অথচ স্কুল কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন। ঘটনাটি ঘিরে বৃহস্পতিবার স্থানীয়দের ক্ষোভ চরমে ওঠে। স্কুলে এসে তাঁরা মুরগি ফার্মটিকে বন্ধের দাবিতে সোচ্চার হন।

স্থানীয় বাসিন্দা জয়ন্ত কুমার দাস জানিয়েছেন, প্রতিদিন রাতে স্কুলের জানালার ভেতর থেকে আলো দেখা যায়। গ্রামবাসীরা বন্ধ জানালায় চোখ রেখে দেখেন ভেতরে মুরগি চাষ চলছে। সেই সঙ্গে ঘরের ভেতর পড়ে রয়েছে মদের বোতলও। এই নিয়ে সর্বস্তরে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। ঘটনাটি নজরে আনা হয়েছে স্থানীয় চকশিমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতপ্রধান মনোজকুমার আদকের। গ্রামবাসীদের থেকে অভিযোগ পেয়ে স্কুলে আসেন মনোজ। তিনি জানান, স্কুলে এসে তিনি মুরগি চাষ চলছে দেখতে পেয়েছেন। কিছু মদের বোতল পড়ে থাকতেও দেখেছেন। স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী নারায়ণচন্দ্র জানা ওরফে দুলাল এখানে মুরগি রেখেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বিষয়টি স্কুলের প্রধান শিক্ষককেও জানানো হয়েছে।

Advertisement

যদিও নারায়ণ জানিয়েছেন, বাড়িতে আত্মীয়রা এসেছেন বলেই দিন কয়েক মুরগিগুলোকে স্কুলের ঘরে রেখেছিলেন তিনি। অন্যদিকে গ্রামবাসীরা এই দাবিকে নস্যাৎ করেছেন। তাঁদের দাবি, লকডাউনে স্কুলের পঠনপাঠন বন্ধ থাকলেও শিক্ষকরা বেতন পাচ্ছেন। বেতন নিলেও কোনও শিক্ষকই স্কুলে আসেন না বলে জানিয়েছেন তাঁরা। সেই সুযোগে অনেকদিন ধরেই স্কুলে মুরগি চাষ করছেন ওই ব্যক্তি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন