জঙ্গলে পড়ে নিথর দেহ। নিজস্ব চিত্র।
পূর্ণ বয়স্ক একটি স্ত্রী হাতির মৃতদেহ উদ্ধার করল বন দফতর। শুক্রবার গোয়ালতোড়ের পাথরমাড়ি জঙ্গল থেকে দেহটি উদ্ধার করা হয়। বন আধিকারিকদের প্রাথমিক অনুমান দু’তিন দিন আগে অন্য হাতির সঙ্গে লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই হাতিটির। পিঠে এবং মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। একমাসে এই নিয়ে তিনটি হাতির মৃতদেহ উদ্ধার হল পশ্চিম মেদিনীপুর। এর আগে গড়বেতা ও আমলাগোড়ায় দু’টি হাতির মৃত্যু হয়েছিল। ডিএফও (রূপনারায়ণ) অর্ণব সেনগুপ্ত বলেন, “পাথরমাড়ি জঙ্গলে দলছুট গোটা পাঁচেক হাতি ঘোরাফেরা করছে। কোনও কারণে বছর পনেরো-কু়ড়ির হাতিটি লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছিল বলে মনে হয়। পালের একটি হাতির দাঁতের দাগ রয়েছে মৃতদেহের পিঠে এবং মাথায়।’’
এ দিন পাথরমাড়ি জঙ্গলে পাতা কুড়োতে গিয়ে মৃত হাতিটিকে দেখতে পান স্থানীয়রা। অর্ণব সেনগুপ্ত জানান, সম্ভবত লড়াইয়ে জখম হয়ে পড়েছিল হাতিটি। দু’তিন দিন আগে তার মৃত্যু হয়। শরীরে পচন ধরে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে চন্দ্রকোনার হুড়হুড়িয়া গ্রামে হাতির হানায় মৃত্যু হয় এক যুবকের। মৃত অরূপ সাঁতরা (২৪) গড়বেতা থানার বরডিহা গ্রামের বাসিন্দা। এ দিন তিনি আলু খেতে সেচ দিতে এসেছিলেন। হঠাৎই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে পড়ে হাতিটি। অরূপ পালানোর চেষ্টা করলে তাড়া করে ধরে ফেলে সে। শুঁড়ে জড়িয়ে আছড়ে ফেলে পা দিয়ে পিষে দেয়। ডিএফও (রূপনারায়ণ) জানান, দলছুট হাতির আক্রমণে ওই ব্যাক্তির মৃত্যু হয়েছে।
বন দফতর সূত্রে খবর, গত বুধবার রাতে দলমার প্রায় ৭০ টি হাতিকে চন্দ্রকোনা থেকে স্থানীয় রসকুণ্ডু জঙ্গল হয়ে মগুরাশোল জঙ্গলে ঢুকিয়ে দেয় বন দফতর। দিন কয়েক আগে গড়বেতার ধাদিকা জঙ্গল থেকে স্থানীয় চাঁদাবিলা, মাগুরাশোল জঙ্গল হয়ে হদহদির জঙ্গলে ঢুকেছিল প্রায় ৪৫-৫০টি একটি হাতির পাল। এই পালটি এখন লালগড়ের জঙ্গলে রয়েছে। এদেরই মধ্যেই কিছু হাতি বিক্ষিপ্ত ভাবে দলছুট হয়ে পাথরমারি এবং রসকুণ্ডুর বরডিহার জঙ্গলে রয়ে গিয়েছে।