অগ্নিকাণ্ডে বন্ধ আইসিইউ

মেদিনীপুরের বটতলাচকের কাছে ওই নার্সিংহোমে আগুন লাগে শনিবার দুপুরে। দমকল সূত্রে খবর, আইসিইউ’র পাশে এসিতে শর্ট-সার্কিট থেকেই এই ঘটনা। ওই একই জায়গায় থাকা একটি ফ্রিজও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফ্রিজেও শর্ট-সার্কিট হতে পারে বলে অনুমান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৬:০০
Share:

নার্সিংহোম থেকে বের করে আনা হচ্ছে রোগীদের। ফাইল চিত্র।

অগ্নিকাণ্ডের পরে আপাতত মেদিনীপুরের নার্সিংহোমটির আইসিইউ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল জেলা স্বাস্থ্য দফতর। ঘটনার পরে শনিবারই একদফা পরিদর্শন হয়েছে। এসেছিল জেলা স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল। তাঁরা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরাকে প্রাথমিক রিপোর্ট দিয়েছেন। আজ, সোমবারও আর এক দফা পরিদর্শন হতে পারে। গিরীশচন্দ্রবাবু বলেন, “ওই নার্সিংহোমের আইসিইউ এখন বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। ফের পরিদর্শন হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে তারপরই আইসিইউ চালু করার অনুমতি দেওয়া হবে।’’

Advertisement

মেদিনীপুরের বটতলাচকের কাছে ওই নার্সিংহোমে আগুন লাগে শনিবার দুপুরে। দমকল সূত্রে খবর, আইসিইউ’র পাশে এসিতে শর্ট-সার্কিট থেকেই এই ঘটনা। ওই একই জায়গায় থাকা একটি ফ্রিজও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফ্রিজেও শর্ট-সার্কিট হতে পারে বলে অনুমান। ধোঁয়া দেখে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় রোগী এবং রোগীর পরিজনেদের মধ্যে। তবে বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ঘটনার সময় নার্সিংহোমে ২১ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। আইসিইউতে ছিলেন ৩ জন। ঘটনার পরে আইসিইউ’র একজন রোগী বাড়ি ফিরে যান। বাকি দু’জনকে মেদিনীপুরের অন্য নার্সিংহোমে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়। অন্য রোগীরা অবশ্য এই নার্সিংহোমেই রয়েছেন।

শনিবার দুপুরের ঘটনা পরে দমকলের কর্তারা নার্সিংহোমটি পরিদর্শন করেন। দমকল সূত্রে খবর, নার্সিংহোমটির ফায়ার লাইসেন্স রয়েছে। তবে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়। মেদিনীপুর পুরসভার একটি ভবনের একাংশে ভাড়ায় চলে এই নার্সিংহোম। কয়েক মাস আগে নানা অনিয়মের জেরে এই নার্সিংহোমের ঝাঁপ বন্ধ হয়েছিল। পরে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলার নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য দফতর। সেই মতো পরিকাঠামো গড়ে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ফের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেন। স্বাস্থ্য দফতরের পরিদর্শনের পরে গত মাসে ফের লাইলেন্স মেলে। নার্সিংহোমটি চালু হয়। কিন্তু তারপরেই এই অগ্নিকাণ্ড। নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, পরিকাঠামো ঠিকঠাকই রয়েছে। শনিবারের আগুন নিছক দুর্ঘটনাই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement