সকালে ট্রেনের কামরায় আইআরসিটিসি পরিচালিত প্যান্ট্রি কর্মীরা চা বিক্রি করছিলেন। কারও কাছে দাম ২৫ টাকা, আবার কারও কাছে ১৫ টাকা। সম্প্রতি আমদাবাদ এক্সপ্রেসে কলকাতা ফেরার পথে এমনই অভিজ্ঞতা হয় বিহারের বাসিন্দা সৌরভ কুমারের। তিনি কলকাতায় সেনাবাহিনীর ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের ছাত্র। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ওই অভিজ্ঞতার পরে ট্রেনের খাবারের অতিরিক্ত দাম নেওয়া হচ্ছে বলে সরাসরি দক্ষিণ-পূর্ব রেলের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজারের কাছে নালিশ ঠুকেছিলেন সৌরভ। তারপরই নড়ে বসেছে রেল। আইআরসিটিসি-র বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে খড়্গপুর রেল ডিভিশন।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রেল বাজেটে নতুন কেটারিং নীতি ঘোষণা করেছেন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। সেই মতো প্রতিটি ট্রেনে খাবার তৈরি থেকে পরিবেশন, সব দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রেলের অধীনস্থ সংস্থা ‘ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন’ (আইআরসিটিসি)-কে। দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের আমলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন আইআরসিটিসি-র হাত থেকে খাবার পরিবেশনের দায়িত্ব কেড়ে সরাসরি রেলকে দেওয়া হয়েছিল। তবে রাজধানী, শতাব্দী, দুরন্ত-সহ বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেনে তারপরেও আইআরসিটিসি-ই দায়িত্বে ছিল। সৌরভ যে ট্রেনে উঠেছিলেন, সেই আমদাবাদ এক্সপ্রেসে খাবারের দায়িত্বও আইআরসিটিসি-র। অভিযোগ, দূরপাল্লার বহু ট্রেনে ‘রেট কার্ড’ ছাড়া বিক্রি হচ্ছে খাবার। বাড়তি দাম দিয়েও ভাল খাবার মিলছে না।
সৌরভ তাঁর অভিজ্ঞতা সরাসরি ফোনে রেলের অতিরিক্ত জেনারেল ম্যানেজার অনির্বাণ দত্তকে জানান। আমদাবাদ এক্সপ্রেস খড়্গপুরে পৌঁছলে অতিরিক্ত কমার্শিয়াল ম্যানেজার এ থাঙ্গাবালাম ও সিনিয়র কমার্শিয়াল ইন্সপেক্টর অনুপম পালোধী ট্রেনে ওঠেন। যাত্রী সেজে তাঁরাও দেখেন খাবারের অতিরিক্ত দাম নেওয়া হচ্ছে। শুরু হয় তদন্ত।