স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব, প্রতিবাদে স্বামীকে খুনের অভিযোগ

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নন্দকুমার থানার সাওড়াবেড়িয়া জালপাই গ্রামের বাসিন্দা শিবপ্রসাদ মান্নার ঠেকুয়া বাজারে বৈদ্যুতিন সামগ্রী ও ছ’ফুকার বাজারে মদের দোকান রয়েছে। ওই মদের দোকানে কাজ করতেন বিশ্বনাথ। বিশ্বনাথবাবুর স্ত্রী মামণিদেবীর অভিযোগ, বাড়িতে স্বামী না থাকলে শিবপ্রসাদ এসে তাঁকে কুপ্রস্তাব দিতেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৭ ০৮:১০
Share:

প্রতীকী ছবি।

স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার প্রতিবাদ করায় এক ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগ উঠেছে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার থানার ঠেকুয়া এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম বিশ্বনাথ সাত্যকি (৩৮)। তাঁর বাড়ি স্থানীয় চকশিমুলতলা গ্রামে। বিশ্বনাথবাবুর স্ত্রী’র অভিযোগের ভিত্তিতে শিবপ্রসাদ মান্না নামে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। শিবপ্রসাদবাবু অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নন্দকুমার থানার সাওড়াবেড়িয়া জালপাই গ্রামের বাসিন্দা শিবপ্রসাদ মান্নার ঠেকুয়া বাজারে বৈদ্যুতিন সামগ্রী ও ছ’ফুকার বাজারে মদের দোকান রয়েছে। ওই মদের দোকানে কাজ করতেন বিশ্বনাথ। বিশ্বনাথবাবুর স্ত্রী মামণিদেবীর অভিযোগ, বাড়িতে স্বামী না থাকলে শিবপ্রসাদ এসে তাঁকে কুপ্রস্তাব দিতেন। স্বামীকে তা জানালে তিনি শিবপ্রসাদবাবুর আচরণের প্রতিবাদ করেন। এরপরেই তাঁর স্বামীকে শিবপ্রসাদ হুমকি দেন বলে মামণি দেবীর অভিযোগ। তিনি জানান, গত ২৫ জুলাই দুপুরে বিশ্বনাথবাবু মোটর সাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে শিবপ্রসাদ ও তাঁর কয়েকজন সঙ্গী তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করে বলে স্থানীয় লোকজন তাঁকে জানায়। তাঁরাই বি‌শ্বনাথবাবুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিশ্বনাথবাবুকে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ও পরে ওডিশার কটকের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানে ২৭ জুলাই তিনি মারা যান। এর পর ৩১ জুলাই মামণি দেবী নন্দকুমার থানায় শিবপ্রসাদের বিরুদ্ধে স্বামীকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন