তর সয় না... পুজো শুরু হয়ে গিয়েছে খড়্গপুরের মথুরাকাটির মণ্ডপে। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।
কন্যাশ্রী থেকে স্বচ্ছ ভারত অভিযান— মেদিনীপুরের বিধাননগর পূর্ব সর্বজনীনের পুজোর থিমে এ বার সরকারি প্রকল্পের কথা।
খড়ের ছাউনি দেওয়া তিনচালা বাড়ি। সেই বাড়িতেই লক্ষী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশকে নিয়ে বাস মা দুর্গার। খড়ের ছাউনি দেওয়া মাটির বাড়ি তো কী হয়েছে? চারিদিক সাফসুতরো। প্রত্যেকের বাড়িতেই শৌচাগার রয়েছে। তাই মগ হাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে ছুটে যাওয়া নৈব নৈব চ। রান্নার গ্যাস, বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা, আছে সবই। তাই জ্বালানির জন্য অরণ্য ধ্বংস করার প্রশ্নই নেই।
শুধু কি তাই, মণ্ডপে মডেলের মাধ্যমে ফুটে উঠবে আরও নানা প্রকল্পের কথা। মাটির বাড়ির ছেলেমেয়েরাও স্কুলে যায়। সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেল চড়ে। কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পায়। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে হাতুড়ে চিকিৎসক নয়, রয়েছে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। সরকারি সমস্ত প্রকল্পই তুলে ধরা হচ্ছে মডেলের মাধ্যমে। এটি প্রতীকি মাত্র। পুজো কমিটির সহ-সভাপতি চম্পক দত্তের কথায়, “পরিবেশ সচেতনতা ছাড়া একটি রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়ন অসম্ভব। তা করতে রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলি সম্বন্ধে, দশর্নার্থীদের জানাতেই এই উদ্যোগ।”
পরিবেশ সচেতনতার বার্তা গোলকুয়াচক সর্বজনীন পুজো কমিটিরও। ফেলে দেওয়া কৌটো, ছেঁড়া কাগজের টুকরোর মতো আবর্জনা দিয়ে তৈরি করা পুতুল, পেঁচা, রাজা-রানি দিয়ে সেজে উঠবে মণ্ডপ। শিল্পী গৌতম মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “এ সব দিয়ে পুতুল তৈরি করা হলে আবর্জনাও কমবে। ঘর সাজাতেও কাজে লাগবে।” বর্তমানে কাঠের পুতুল শিল্প ধীরে ধীরে অবলুপ্ত হতে চলেছে। বর্ধমানের নতুন গ্রামে ১২০ জন শিল্পী এখনও অবশ্য এই কাজ করেন। কিন্তু তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় আছে। এই থিমের মাধ্যমে পুতুল শিল্পীদের প্রতি শ্রদ্ধাও জানানো হল বলে গৌতমবাবু জানিয়েছেন।