এক কেন্দ্রে নিরঙ্কুশ জয়লাভ করলেও অন্য কেন্দ্রে খাতাই খুলতে পারল না বিজেপি। —প্রতীকী চিত্র।
বিজেপির দখলে থাকা নন্দীগ্রাম ও ময়না বিধানসভা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গড় হিসাবেই পরিচিত। ওই দুই বিধানসভা এলাকার দু'টি জায়গার সমবায় নির্বাচনে দেখা গেল দু’রকম চিত্র। এক কেন্দ্রে নিরঙ্কুশ জয়লাভ করলেও অন্য কেন্দ্রে খাতাই খুলতে পারল না বিজেপি।
রবিবার কৃষি উন্নয়ন সমিতির সমবায় নির্বাচন হয়েছিল নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের কালীচরণপুর ও ময়না ব্লকের পরমানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাড়দুয়াচক এলাকায়। কালীচরণপুরে ১২টি আসনের মধ্যে সবক'টিতেই প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপি ও তৃণমূল। বামেরা প্রার্থী দিয়েছিল পাঁচটি আসনে। যদিও পরবর্তীকালে বামেরা তিনটি ও তৃণমূল একটি আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। ফল বের হতে দেখা যায় সব কেন্দ্রেই জয়লাভ করে বিজেপি। এর মধ্যে একটি আসনে জয় আসে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। তবে হাড়দুয়াচকে ৫৬টি আসনের মধ্যে একটিতেও জয় আনতে পারল না বিজেপি। সমস্ত কেন্দ্রেই প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল ও বিজেপি। বামেরা প্রার্থী দিয়েছিল মোট ন'টি আসনে। বামেদের প্রাপ্ত আসন সংখ্যাও শূন্য। সমস্ত কেন্দ্রেই বিপুল জয় হয় তৃণমূলের। বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু গড়ের দুই কেন্দ্রে পরস্পর বিরোধী এই চিত্র যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ফলাফল বেরানোর পর কালীচরণপুরে বিজেপি গেরুয়া আবির উড়িয়ে ও হাড়দুয়াচকে তৃণমূল সবুজ আবির উড়িয়ে বিজয়োল্লাস শুরু করে। নন্দীগ্রেমের কেন্দ্রে জয় প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা মেঘনাদ পাল বলেন, ‘‘কালীচরণপুর সমবায়ের নির্বাচন ছিল ১৫ জুন। তবে ১৪ জুন হঠাৎ করে জানানো হয়েছিল যে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। এর পরে আমরা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হই। আদালতের নির্দেশে অবশেষে আজ নির্বাচন আয়োজিত হল। আমরা নিরঙ্কুশ ভাবে জয়লাভ করেছি।’’