নির্জলা গ্রামে সেচ কর, পথে চাষিরা

সেচ কর আদায়ের জন্য গ্রামে শিবির করার পরিকল্পনা করেছিলেন কংসাবতী প্রকল্পের আধিকারিকরা। কিন্তু সেচ সেবিত এলাকা হলেও সেচ খালে জল থাকে না বলে অভিযোগ চাষিদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:০০
Share:

ক্ষোভের মুখে কংসাবতী প্রকল্পের আধিকারিকরা। নিজস্ব চিত্র।

সেচ কর আদায়ের জন্য গ্রামে শিবির করার পরিকল্পনা করেছিলেন কংসাবতী প্রকল্পের আধিকারিকরা। কিন্তু সেচ সেবিত এলাকা হলেও সেচ খালে জল থাকে না বলে অভিযোগ চাষিদের। সোমবার প্রকল্প আধিকারিকদের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন বেলপাহাড়ির ভেলাইডিহা গ্রাম দিয়াশি গ্রামের বাসিন্দারা।

Advertisement

ওই গ্রামে প্রায় ১৫০টি পরিবারের বাস। সকলেরই প্রধান জীবিকা চাষ। গ্রামের পাশ দিয়ে গিয়েছে কংসাবতী খাল। কিন্তু তাতে জল নেই। গত ১৫ বছর ওই খালের জল তাঁরা চাষের কাজে ব্যবহার করতে পারেন না বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁদের দাবি, এ কারণেই গত কয়েক বছর সেচকর দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন অনেকেই। এ বার সেই আনাদায়ী কর আদায় করার জন্য ৬ মার্চ গ্রামে সচেতনতা শিবির করার কথা ভেবেছিলেন কর্তৃপক্ষ। সে জন্য প্রচারের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল এ দিন। বাসিন্দারা কর্তৃপক্ষের গাড়ি ও চার কর্মীকে আটকে রাখেন বলে অভিযোগ। পরে আরও দুই জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ারকে পাঠালে তাঁদেরকেও আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে।

স্থানীয় উত্তম মাহাতো বলেন, ‘‘প্রায় ১৫ বছর ক্যানেলের জল পাইনি। কিন্তু একর পিছু ১৫ টাকা জল কর দিয়ে আসছি। ২০১৩ সাল থেকে আর টাকা দিই না।’’ আর এক চাষি দিলীপ মাহাতোর দাবি, ‘‘খালে জল আসুক, আমরা কর দেব। তার আগে নয়।’’ বাসিন্দাদের অভিযোগ সংস্কাররে অভাবে ওই খালের নাব্যতা কমে গিয়েছে। তার উপর মুকুটমণিপুর জলাধার থেকেও কম জল ছাড়া হয়। তা খালের শেষ পর্যন্ত তা পৌঁছায় না। ফলে খরিফ মরসুমে অসুবিধায় পড়েন চাষিরা।

Advertisement

সে কথা স্বীকার করেছেন কংসাবতী ক্যানেল ৫ নম্বর ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার তরুণকুমার দাসও। তিনি বলেন, ‘‘রবি মরসুমে খালে প্রচুর জল থাকে। কিন্তু খরিফ মরসুমে অতটা জল আমরা দিতে পারি না, কারণ মুকুটমনিপুর জলাধারে এই সময় বেশি জল থাকে না। যে টুকু জল থাকে তা হিসেব করে বণ্টন করতে হয়।’’ তাঁর দাবি, কতটা জল দেওয়া হবে তা আগেই লিফলেট দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন