সাংসদ কার্যালয় খুলছেন কুনার 

দলীয় সাংসদের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বিজেপি-র ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি সুখময় শতপথী জানান, ঝাড়গ্রামে দলীয় কার্যালয়ে এসে অনেকেইনানা দাবি বা সমস্যার কথা জানান। লিখিত দাবিপত্রও দিয়ে যান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৯ ০০:০২
Share:

এখানেই হবে কার্যালয়। নিজস্ব চিত্র

তিনি সবার জনপ্রতিনিধি। তাই সবার কথা শোনার জন্য ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুনার হেমব্রম অরণ্যশহরে সাংসদ-কার্যালয় চালু করতে চলেছেন। ঝাড়গ্রামে থাকলে সকালে ও বিকেলে দু’বেলাই সেখানে বসবেন তিনি। শুনবেন মানুষের সমস্যা ও অভাব-অভিযোগের কথা।

Advertisement

তিনি সংসদে অথবা কাজে বাইরে থাকলেও সাংসদ-কার্যালয়ে গিয়ে লিখিত দাবিপত্র বা অভিযোগপত্র জমা দেওয়া যাবে। কেন এমন উদ্যোগ? কুনার জানাচ্ছেন, ‘‘আমি সবার সাংসদ। তাই আমার সংসদীয় এলাকার বাসিন্দারা যাতে সহজে নিজেদের সমস্যা ও দাবির কথা জানাতে পারেন, তাই এই উদ্যোগ।’’

দলীয় সাংসদের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বিজেপি-র ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি সুখময় শতপথী জানান, ঝাড়গ্রামে দলীয় কার্যালয়ে এসে অনেকেইনানা দাবি বা সমস্যার কথা জানান। লিখিত দাবিপত্রও দিয়ে যান। তবে দলীয় কার্যালয়ে আসতে অনেকের সমস্যা থাকে। সেই কথা মাথায় রেখেই আলাদা করে সাংসদ কার্যালয় হচ্ছে। সবাই যাতে সাংসদের কাছে নিজেদের অভাব-অভিযোগের কথা জানাতে পারেন সেটাই এর লক্ষ্য। সাংসদের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম শহরের কলেজ রোডে প্রধান রাস্তার ধারে একটি বাড়ির দোতলায় সাংসদের কার্যালয় হবে। ওই বাড়ির একতলায় কয়েকটি দোকানপাট রয়েছে। দোতলায় সাজসজ্জার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সেখানে সাংসদ ও তাঁর আপ্ত সহায়কের দু’টি পৃথক ঘর ছাড়াও দেখা করতে আসা লোকজনের বসার ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া দাবি ও অভিযোগ গ্রহণের বাক্সও রাখা হবে।

Advertisement

প্রশান্ত কিশোরের সাহায্য নিয়ে শাসকদল তৃণমূল যখন নিজেদের কর্পোরেট ধাঁচে গড়ে তুলতে চাইছে, তখন ঝাড়গ্রাম শহরে কুনারের সাংসদ-কার্যালয় খোলার উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে অরণ্য শহরে। এর আগে ঝাড়গ্রামের সাংসদ ছিলেন তৃণমূলের উমা সরেনের সঙ্গে সাধারণ মানুষ যোগাযোগ করতে পারতেন না বলে অভিযোগ ছিল। সেই কথা মাথায় রেখেই সদ্য নির্বাচিত দলীয় সাংসদের ঝাড়গ্রাম শহরে আলাদা কার্যালয় খোলার উদ্যোগকে তৃণমূলের উপর চাপ বাড়ানোর কৌশল বলেই দেখছে বিজেপির কর্মীরা।

তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি বিরবাহা সরেন বলছেন, ‘‘সাংসদ তাঁর কার্যালয় খু‌লতেই পারেন। দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণির মানুষ পরিষেবা পেলে তবেই ওই কার্যালয় খোলার সার্থকতা বিচার করা যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন