Jadavpur University Student Death

মায়ের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন, ট্রেন থেকে নদীতে ‘ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন’ যাদবপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র

পরিবার সূত্রে খবর, মৃতের নাম সোহম পাত্র। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রিন্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করতেন তিনি। তৃতীয় বর্ষের ওই পড়ুয়ার বাড়ি বাঁকুড়ায়। মঙ্গলবার রাতে ট্রেনে উঠেছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:০৮
Share:

নদী থেকে ছেলের দেহ উদ্ধারের পর অসহায় বাবা-মা। —নিজস্ব চিত্র।

কলকাতা থেকে মায়ের সঙ্গে বাঁকুড়ায় বাড়ি ফিরছিলেন। চলন্ত ট্রেন থেকে আচমকা ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর কাঁসাই হল্টে। ইতিমধ্যে দেহ উদ্ধার করেছে জিআরপি।

Advertisement

পরিবার সূত্রে খবর, মৃতের নাম সোহম পাত্র। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রিন্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করতেন তিনি।

তৃতীয় বর্ষের ওই পড়ুয়ার বাবার নাম দীপককুমার পাত্র, মা মল্লিকা পাত্র। তাঁদের বাড়ি বাঁকুড়া থানা এলাকায়। মঙ্গলবার রাতে হাওড়া-আদ্রা রানি শিরোমণি প্যাসেঞ্জার ট্রেনে উঠেছিলেন সোহম। সঙ্গে ছিলেন তাঁর মা। খড়্গপুর জিআরপি সূত্রে খবর, কাঁসাই হল্ট এবং মেদিনীপুর স্টেশনের মাঝে ব্রিজ থেকে নদীতে ঝাঁপ দেন ওই পড়ুয়া।

Advertisement

রাতে নদী এবং স্টেশনের আশপাশে খোঁজাখুঁজি করলেও ওই যাত্রীর খোঁজ মেলেনি। বুধবার সকালে নদীতে ভাসতে দেখা যায় দেহ। এর পরই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। খড়্গপুর লোকাল থানার পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিশের অনুমান, মানসিক অবসাদের জেরে আত্মহত্যা করেছেন পড়ুয়া। দেহ উদ্ধারের পরে সোহমের বাবার প্রতিক্রিয়া, ‘‘এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারছি না। কী ঘটেছে সেটা পুলিশ বলবে। আমরা কিছু সন্দেহও করছি না।’’ মৃত পড়ুয়ার মা বলেন, ‘‘আমার ছেলে থার্ড ইয়ারে (তৃতীয় বর্ষে) পড়ত। র‌্যাগিংয়ের কোনও প্রশ্নই নেই। আমার ছেলেকে সকলে ভালবাসত। মনে হচ্ছে, সুইসাইডই করেছে। কিন্তু কারণ জানা নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement