Junput Murder Case

জুনপুটের ঝাউবন থেকে কিশোরীর দেহ উদ্ধারকাণ্ডে ধৃত ‘প্রেমিক’-এর ৯ দিনের পুলিশি হেফাজত, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য!

মেয়ের বাবা জানান, গত শনিবার ওই নাবালিকা টিউশন নিতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। এর পর সে আর বাড়ি ফেরেনি। ওই সময়ই যুবকটি তাঁর মেয়েকে মোটরবাইকে চাপিয়ে প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে কাদুয়া এলাকায় ঝাউজঙ্গলে নিয়ে যান।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ০১:৩৩
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

পূর্ব মেদিনীপুরের জুনপুটে এক নাবালিকার হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে খুনের ঘটনায় উঠে এল একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। রবিবার বিকেল নাগাদ জুনপুটে ঝাউবনের ভিতর থেকে ১৫ বছরের নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তার ‘প্রেমিক’কে গ্রেফতার করেছে কাঁথি থানার পুলিশ। ধৃতকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে ন’দিনের পুলিশি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বলে কাঁথি থানা সূত্রে জানানো হয়েছে। জেরায় ধৃত যুবক খুনের কথা স্বীকার করেছেন বলে পুলিশের দাবি।

Advertisement

ইতিমধ্যে এই ঘটনায় মৃত নাবালিকার পরিবারের তরফ থেকে সোমবার বিকেলে কাঁথি থানায় ধর্ষণ ও খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। মৃতার বাবার অভিযোগ, দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর ধরে অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল তাঁর মেয়ে। কিন্তু যুবকটি অত্যন্ত বখাটে প্রকৃতির। নেশাভাং করার পাশাপাশি মাঝেমধ্যেই মেয়েটিকে মারধরও করতেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবক মৃত নাবালিকাকে একটি মোবাইল ফোন উপহার দিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি মেয়েটি অন্য কোনও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল বলে সন্দেহ করতেন ওই যুবক। এই নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝামেলাও হয় এবং নাবালিকার ফোনটি ভেঙে দেন ওই যুবক।

মেয়ের বাবা জানান, গত শনিবার ওই নাবালিকা টিউশন নিতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। এর পর সে আর বাড়ি ফেরেনি। ওই সময়ই যুবকটি তাঁর মেয়েকে মোটরবাইকে চাপিয়ে প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে কাদুয়া এলাকায় ঝাউজঙ্গলে নিয়ে যান। সেখানেই কিশোরীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুন করে ফেলে দিয়েছেন বলে নাবালিকার বাবা লিখিত অভিযোগে দাবি করেছেন। তাঁর আরও দাবি, এই কাজ কোনও একজনের পক্ষে করা সম্ভব নয়। তাই এই ঘটনায় মেয়েটির প্রেমিক-সহ আরও কয়েক জন জড়িত বলেই তাঁর সন্দেহ।

Advertisement

মেয়ের বাবার থেকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পর কাঁথি থানার পুলিশ পকসো আইনে মামলা রুজু করে এবং মেয়েটির মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি হাসপাতালের পরিবর্তে তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এই ঘটনায় পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “অভিযুক্ত খুনের অভিযোগ স্বীকার করলেও ধর্ষণের অভিযোগ তদন্তসাপেক্ষ এবং তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। ঘটনার সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

কাঁথি থানা সূত্রে খবর, অভিযুক্ত যুবককে পাকড়াও করার পর প্রথম দিকে তাঁকে নাবালক বলে মনে হয়েছিল। সেই হিসেবে অভিযুক্তকে জুভেনাইল কোর্টে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তার জন্মসংশাপত্র খতিয়ে দেখার পর জানা যায়, ওই যুবক সাবালক। তাই মঙ্গলবার অভিযুক্তকে কাঁথি মহকুমা আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁকে ৯ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement