general-election-2019-west-bengal

সকালেই লম্বা লাইন

এ দিন ঘাটাল ও দাসপুরে ভোট মিটেছে কমবেশি শান্তিতেই। তবে তার মধ্যেও বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। বালিডাঙা, মামুদপুর, জলসরা, বলরামপুর প্রভৃতি এলাকায় হয়েছে গোলমাল।

Advertisement

অভিজিৎ চক্রবর্তী

ঘাটাল শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৯ ০০:০২
Share:

বুথ চত্বর পেরিয়ে লাইন পৌঁছেছে ঘাটাল-চন্দ্রকোনা রাজ্য সড়কে। ঘাটালের রানির বাজারে। ছবি: কৌশিক সাঁতরা

সকাল সকাল ভোট দিন। ভোটারদের কাছে এমন আবেদন করে প্রায় সব রাজনৈতিক দলই। ঘাটাল, দাসপুরে হলও তাই।

Advertisement

কী ব্যাপার! রবিবার কাকভোরেই বুথের সামনে ভোটারদের ভিড়! রাজনৈতিক দলগুলির কথা শুনে সকলে সক্কাল সক্কাল দাঁড়িয়ে পড়লেন ভোটের লাইনে! অনেকেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দিতে পারেননি। তাই এ দিন লোকসভা ভোটে ঝুঁকি নিয়ে নারাজ তাঁরা। কেশপুরে যখন বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষকে নিয়ে ধুন্ধুমার চলছে তখন বিক্ষিপ্ত অশান্তি ছাড়া মোটের উপরে ঘটনাহীন ছিল ঘাটাল ও দাসপুরের ভোট।

এ দিন ঘাটাল ও দাসপুরে ভোট মিটেছে কমবেশি শান্তিতেই। তবে তার মধ্যেও বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। বালিডাঙা, মামুদপুর, জলসরা, বলরামপুর প্রভৃতি এলাকায় হয়েছে গোলমাল। ঘাটালের বলরামপুরে বিজেপি নেতার বাড়ি ভাঙচুর ও বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির অভিযোগ, রবিবার বিকালে হুগলি থেকে তৃণমূলের কিছু বহিরাগত বলরামপুরে গ্রামে হামলা চালায়। বোমাবাজি করে। তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলইয়ের দাবি, ‘‘ঘাটালে শান্তিতে ভোট হয়েছে। ভোট দলের পক্ষেই গিয়েছে।” বিজেপির দাসপুর বিধানসভা নিবার্চনী কমিটির আহ্বায়ক প্রশান্ত বেরা বলেন, ‘‘মানুষ নিজের ভোট নিজেই দিয়েছেন। এটাই তো আমরা চাইছিলাম।”

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

এর আগে যে কোনও ভোট এলেই দাসপুরে উৎসবের ছবি দেখা যেত। এই বিধানসভা এলাকার অনেকে সোনার কাজের জন্য রাজ্য বা দেশের বাইরে থাকেন। এতদিন ভোটের সময়ে তাঁরা ঘরে ফিরতেন। কিন্তু এ বার সোনার কারিগরেরা সেভাবে ভোট দিতে আসেননি। ভোট দিতে আসেননি সোনা কারিগরদের পরিবারের সদস্যরাও। যদিও এ বার ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল ও বিজেপি দু’দলই প্রচারে সোনা প্রসঙ্গ এনেছিল। তৃণমূল দাবি করেছিল, কেন্দ্রীয় সরকারের নোটবন্দির জন্যই সোনা ব্যবসা ক্ষতির মুখে পড়েছে। তৃণমূল জিতলে এখানে সোনার হাব তৈরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। সোনার হাব তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপিও।

ভোটের আগের রাতে ডেবরায় রাধামোহনপুর ও দণ্ডেশ্বর বুথের সামনে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ হয়। রবিবার ভোটের শেষবেলায় উত্তেজনা ছড়ায় সবংয়ের বুড়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের কেরুর বুথে। এ দিন ভোটার তালিকায় এক ভোটারের নাম খুঁজে না পাওয়াকে কেন্দ্র করে অশান্তি শুরু হলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা শূন্যে দু’রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রভাত মাইতির অভিযোগ, সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালিয়েছে। যদিও পুলিশের দাবি, গুলি চলার প্রমাণ মেলেনি। পিংলা বিধানসভার মালিগ্রাম ও খড়্গপুর ২ ব্লকের উত্তর শিমলায় ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। তৃণমূল অভিযোগ মানেনি। এ দিন সবংয়ের পলতাইতে নিবারণ সামন্ত নামে এক তৃণমূল নেতাকে বটি দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি এই কাজ করেছে। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্যই এই ঘটনা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন