general-election-2019-west-bengal

উলটপুরাণ, বাকচায় ‘ভোট’ করাল বিজেপি

এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনে দাপিয়ে বাকচায় ‘ভোট’ করালেন বিরোধী বিজেপির কর্মীরা।

Advertisement

আনন্দ মণ্ডল

তমলুক শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৯ ০০:৩০
Share:

প্রতীকী ছবি।

পঞ্চায়েত ভোটে এলাকায় ছিল শাসক দল তৃণমূলের নিরঙ্কুশ আধিপত্য। ভোটের দিন তৃণমূল কর্মীদের দাপাদাপিতে তটস্থ ছিল বিরোধীরা। পঞ্চায়েতের ২১টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের ঝুলিতে গিয়েছিল ১৫টি। বিজেপি ও নির্দল জেতে তিনটি করে আসনে। বছর ঘুরে লোকসভা ভোটে সেই বাকচাতেই কার্যত ব্রাত্য শাসক দল। তৃণমূলের শক্তঘাটি ময়নার বাকচা রবিবার দেখল উলটপুরাণ। আর তা এমনই যে, বাকচা পঞ্চায়েত এলাকার ২৫টি বুথের মধ্যে ১৫ টিতেই পোলিং এজেন্ট ছিল না তৃণমূলের। ছিল না তাদের পতাকা, বুথ অফিস।

Advertisement

এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনে দাপিয়ে বাকচায় ‘ভোট’ করালেন বিরোধী বিজেপির কর্মীরা। তৃণমূল প্রার্থী দিব্যেন্দু অধিকারী ও ময়নার বিধায়ক সংগ্রাম দোলই দুপুরে বাকচা ৪ নম্বর প্রাথমিক স্কুল বুথে যাওয়ার সময় বুথের অদূরে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল বিজেপি সমর্থকদের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয়বাহিনী থাকা সত্ত্বেও বাকচার একাধিক বুথেই সমর্থকদের অনেকে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছতে পারেননি বলে মেনে নিয়েছেন তৃণমূল নেতারা।

সকাল থেকে বাকচায় চাপা উত্তেজনায় ভোট শুরু হয়। শুরু থেকেই বাকচা, বরুনা, গোড়ামাহাল, চান্দিবেনিয়া, খিদিরপুর প্রভৃতি বুথে আধিপত্য ছিল বিজেপি কর্মীদের। ওই সব বুথে বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম পোলিং এজেন্ট দিলেও ছিল না তৃণমূলের প্রতিনিধি। আড়ংকিয়ানা গ্রামে চণ্ডীয়া নদীর উপর পড়িয়ার ঘাট সেতু থেকে তিন কিলোমিটার দূরে বাকচা ৪ নম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুলে পাশাপাশি দুটি বুথ। সকাল পৌনে ১০টা নাগাদ দেখা গেল যাওয়ার পথ আগলে পতাকা বিহীন বিজেপি সমর্থকদের জটলা। বুথের সামনে দেখা গেল কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহারায় ভোট হচ্ছে। ২২৭ নম্বর বুথে ভোটারদের লম্বা লাইন। পাশেই ২২৮ নম্বর বুথে ভোটার মাত্র জনা তিনেক। ওই বুথে ৫৩৫ ভোটারের মধ্যে সকাল ১০টার মধ্যেই পড়ে যায় ৩১৬টি ভোট। দুটি বুথেই বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএমের পোলিং এজেন্ট থাকলেও নেই তৃণমূলের এজেন্ট।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

তমলুকের এসডিপিও সব্যসাচী সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘গোড়ামাহালে ২৩২ নম্বর বুথে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার জন্য জটলা হলে তা ছত্রভঙ্গ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান শূন্য গুলি চালায়।’’

তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুব্রত মালাকার মানছেন, ‘‘ময়না ব্লকে ১৯০টি বুথের মধ্যে বাকচার ১৫টিতেই আমাদের এজেন্ট দেওয়া যায়নি। পোলিং এজেন্ট হতে চাওয়া কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে বিজেপির লোকেরা হুমকি দেওয়ায় এমনটা হয়েছে।’’ তৃণমূল প্রার্থী দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘বাকচায় বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটেছে। তাতে ফলে কোনও প্রভাব পড়বে না।’’

আর বিজেপির জেলা সম্পাদক নবারুণ নায়েকের কথায়, ‘‘বাকচার মানুষ অনেক আগে তৃণমূলকে প্রত্যাখান করেছে। তাই ওরা পোলিং এজেন্ট খুঁজে পায়নি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন