দোলে ভোটের রং। খড়্গপুরের গোলবাজারে বিক্রি হচ্ছে নরেন্দ্র মোদীর মুখোশ। —নিজস্ব চিত্র
সবুজ, লাল, গেরুয়া— ভোটে জিতলে আবির খেলা নিশ্চিত। কিন্তু তার আগেই প্রচারে রং ছড়াতে চাইছে যুযুধান ডান- বাম সবপক্ষ। সেই প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। সৌজন্যে দোল উৎসব। কাল, বৃহস্পতিবার দোল। সেই উৎসবকে সামনে রেখে সব প্রার্থীই চুটিয়ে জনসংযোগের কাজ সারতে চাইছেন।
মঙ্গলবার মেদিনীপুরে এক কর্মিসভা করেন সিপিআই প্রার্থী বিপ্লব ভট্ট। সভা সেরে মেদিনীপুর থেকে খড়্গপুর ফেরার পথে তিনি ঢুঁ মারেন এক আবিরের দোকানে। কিনে নেন কয়েক প্যাকেট লাল আবির। বিপ্লব বলছিলেন, ‘‘দোলের দিন আবির খেলব না তা আবার হয় না কি!’’ মেদিনীপুরের তৃণমূল প্রার্থী মানস ভুঁইয়া বলছিলেন, ‘‘দোল উৎসবে শামিল হতে ভাল লাগে। এ বারও উৎসবে থাকব। তবে কোথাও গিয়ে রাজনীতি করব না।’’
মেদিনীপুর বসন্ত উৎসব এ বার ৩৭ বছরে পা দিচ্ছে। উৎসবে আমন্ত্রিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও। তৃণমূলের দীনেন রায়, সিপিএমের তাপস সিংহ, সিপিআইয়ের সন্তোষ রাণা থেকে কংগ্রেসের সৌমেন খান, বিজেপির অরূপ দাস প্রমুখ। উৎসবের অন্যতম উদ্যোক্তা আলোকবরণ মাইতির কথায়, ‘‘উৎসবের ৩৬ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। অনেকেই আসেন। আনন্দ করেন। এটাই ভাল লাগে।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তাপস সিংহের কথায়, ‘‘মেদিনীপুরের এই উৎসবে অনেকের সঙ্গে দেখা হয়। বড়দের পায়ে আবির দিয়ে আশীর্বাদ ও শুভেচ্ছা প্রার্থনা করি। ছোটদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করি। এটা অন্য রকম ভাললাগা।’’ বিজেপির জেলা সম্পাদক অরূপ বলছিলেন, ‘‘প্রতি বছরই পরিচিতদের সঙ্গে আবির খেলি। এ বারও খেলব। এক হাত রং খেলারও ইচ্ছে রয়েছে।’’ যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি বলেন, ‘‘পরিচিতদের আবদার মেটাতে কোথাও কোথাও আবির মাখতেই হয়। মন্দ লাগে না। এটা তো উৎসব। আর উৎসব নিয়েই আমরা।’’ সামনে লোকসভার ভোট। এ বার তাই যেন দোল আরও রঙিন। এটা যে জনসংযোগের প্ল্যাটফর্মও!
বিজেপির এক নেতা বলছিলেন, ‘‘এতদিন একাধিক কর্মিসভা করেছি। এই প্রথম প্রচারে বেরোব। আর এর জন্য দোলের চেয়ে উপযুক্ত দিন কীই বা হতে পারে!’’