শিশির অধিকারী (বাঁ দিকে) ও দিব্যেন্দু অধিকারী (ডান দিকে)। ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন তমলুক কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী দিব্যেন্দু অধিকারী এবং কাঁথি কেন্দ্রের প্রার্থী শিশির অধিকারী। বুধবার তমলুকে জেলাশাসকের অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
এ দিন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা কয়েক হাজার দলীয় কর্মী- সমর্থকদের নিয়ে তমলুকের রাজ ময়দান থেকে মিছিল করেন দিব্যেন্দু অধিকারী এবং রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। মিছিল ছিল সুসজ্জিত ব্যানার-সহ রণপা, ধামসা-মাদলের বাজনা। মিছিলটি রাজ ময়দান থেকে শহরের জেলখানা মোড়, স্টিমারঘাট, ভীমার বাজার, বড়বাজার হয়ে হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত যায়। মিছিলে ছিলেন বিধায়ক সংগ্রাম দোলাই, হলদিয়ার পুরপ্রধান শ্যামল আদক, তমলুকের পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ সেন এবং পাঁশকুড়ার পুরপ্রধান নন্দকুমার মিশ্র প্রমুখ।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
মিছিলের মাঝেই তমলুক পুরসভার অফিস চত্বরে বিপ্লবীদের মূর্তি এবং শহিদ বেদিতে মাল্যদান করেন শুভেন্দু ও দিব্যেন্দু। এরপর বর্গভীমা মন্দিরে পুজো দেন শুভেন্দু। মিছিল শেষের মনোনয়ন জমা দেন দিব্যেন্দু। পরে জেলাশাসকের অফিসে আসেন শিশিরবাবু। অতিরিক্ত জেলাশাসক (ট্রেজারি) শেখর সেনের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। এ দিন দিব্যেন্দু বলেন, ‘‘জয় নিয়ে কোনও সংশয় নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কাজ দেখে মানুষ তৃণমূলকে বিপুল সমর্থণ করবেন।’’
শিশিরবাবু বলেন, ‘‘সারা বছর মানুষের পাশে থেকে কাজ করি। মানুষের প্রত্যাশা বাড়ছে। প্রত্যাশা পূরণ করার চেষ্টা করা হবে।’’ ভোট দিতে বাধা নিয়ে বিরোধীদের তোলা অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘দু’হাজার আট সাল থেকে এ পর্যন্ত জেলায় একটি বুথেও পুনর্নির্বাচন করাতে পারেনি। এই জেলায় গণতান্ত্রিকভাবে ভোট হয়।’’
সিপিএম সূত্রের খবর, আজ, বৃহস্পতিবার তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ইব্রাহিম আলি, কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী পরিতোষ দাস মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেন।