—ফাইল চিত্র।
কর্মিসংখ্যার অভাব রয়েছে। কিন্তু পরিকাঠামো? তারও অবস্থা তথৈবচ।
মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে এখনও নেই জ্যামার। সিসি ক্যামেরা আছে বটে তবে তা রয়েছে শুধু মূল ফটকের সামনে। যদিও এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে মাসখানেক আগে। জেল সূত্রের খবর, দু’টি সিসি ক্যামেরা এসেছিল। সবদিক দেখেই মূল ফটকের সামনে ওই দু’টি ক্যামেরা বসানো হয়। এরফলে, জেলে কখন কে ঢুকছে, কোন জিনিস ঢুকছে, সেই সব ছবি ধরা থাকছে ক্যামেরায়। অনেক সময় জেলে ঢোকার সময়ে বন্দিদের কাছ থেকে মোবাইল, মাদক মেলে। এখানেই তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু বহু ক্ষেত্রে তো জেলরক্ষীদের নজর এড়িয়ে জেলের মধ্যে ঢোকে মাদক, মোবাইল! মাঝেমধ্যে তল্লাশিতে সে সব উদ্ধারও হয়। জেল সূত্রের খবর, পরবর্তী সময়ে জেলের ভিতরে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে।
জেলের ভিতরে ঠিক কতগুলো সিসি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে? জেল সুপার সৌমিক সরকারের জবাব, ‘‘সংশোধনাগারের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমে কিছু বলব না।’’ তবে জেলের এক কর্তা বললেন, ‘‘কিছু ঘটনা ঘটলে তা ছবিতে ধরা থাকবে। দুষ্কর্মে রাশ টানতে সিসি ক্যামেরা অনেকটাই সহায়ক হবে বলে মনে হয়। একদিকে যেমন অপরাধমূলক কাজকর্ম কমবে, অন্যদিকে তেমন কোনও ঘটনা ঘটলে দ্রুত অপরাধীদের চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘ আসলে একটা সিসি ক্যামেরা তো অনেকজন নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করে। সিসি ক্যামেরা বসলে নিশ্চিত ভাবেই নিরাপত্তা অনেকটা সুনিশ্চিত হবে।’’
সিসি ক্যামেরার মতোই জেলের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল জ্যামার। কারণ, নিরাপত্তার ফাঁক গলে বন্দিদের কাছে মোবাইল পৌঁছলেও উদ্বেগের কিছু থাকত না। কারণ, সেই মোবাইল ব্যবহারই করা যেত না। জেলের এক কর্তা মানছেন, ‘‘সেন্সর থাকলে ভাল হত। তবে এখানে জ্যামার নেই।’’
মেদিনীপুর জেলে কি জ্যামার লাগানোর কোনও পরিকল্পনা রয়েছে? জেলের ওই কর্তার জবাব, ‘‘চিন্তাভাবনা রয়েছে। তবে এখনও নির্দিষ্ট কোনও পরিকল্পনা নেই। আসলে এটা খুব ব্যয়সাপেক্ষ।’’ তবে তাঁর স্বীকারোক্তি, ‘‘মেদিনীপুর সংশোধনাগারটি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার। এ বার বিষয়টি নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। এখানে সেন্সর থাকলে সবদিক থেকেই সুবিধে হবে।’’
প্রায় দেড় হাজার বন্দি রয়েছে মেদিনীপুর জেলে। রয়েছে অনেক দুষ্কৃতী। সেদিক থেকে বিচার করলে এই জেল ‘হাই প্রোফাইল’। অথচ নিরাপত্তা পরিকাঠামো এখন
সেই তিমিরে।