সঙ্কটে সমবায়, আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

সমবায়ের সঙ্কট কাটাতে আইনি লড়াইয়ের পথে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সমবায় সপ্তাহ উপলক্ষে মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রবিবার শহরে এসেছিলেন শুভেন্দু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৬ ০০:২১
Share:

সমবায়ের সঙ্কট কাটাতে আইনি লড়াইয়ের পথে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সমবায় সপ্তাহ উপলক্ষে মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রবিবার শহরে এসেছিলেন শুভেন্দু। তিনি এই ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান। মেদিনীপুরের জেলা পরিষদ হলে সেই অনুষ্ঠানেই শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমরা আর একটা সপ্তাহ দেখব। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা না-করলে প্রথমে হাইকোর্ট, প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করব। গণতান্ত্রিক পথেই আন্দোলন হবে।’’ সোমবার রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় বৈঠক ডেকেছেন বলেও জানান শুভেন্দু।

Advertisement

সমবায় ব্যাঙ্কে পুরনো পাঁচশো-হাজার টাকার নোট জমা দেওয়া যাবে না বলে আগেই নির্দেশ দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। পরে ফের এক নির্দেশে জানানো হয়, সমবায় ব্যাঙ্কও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে পুরনো নোট জমা দিতে পারবে না। এতেই সঙ্কটে পড়েছে সমবায়গুলি।

অচল নোট নিয়ে বিজেপি-বিরোধীদের এক জায়গায় আনার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিপিএম সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকেও ফোন করেছেন। এ দিন শুভেন্দুর মুখেও শোনা গিয়েছে বামপন্থীদের আন্দোলনের কথা, মেদিনীপুরের আন্দোলনের কথা। মন্ত্রীর কথায়, ‘‘শহিদ ক্ষুদিরাম বসু মেদিনীপুরের মানুষ। বীরেন্দ্রনাথ শাসমল মেদিনীপুরের মানুষ। বামপন্থীদের তেভাগা আন্দোলনও হয়েছে অবিভক্ত মেদিনীপুরে, গীতা মুখোপাধ্যায়, বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায়, সুকুমার সেনগুপ্ত, দেবেন দাশ, নারায়ণ চৌবে, শিবরাম বসুদের নেতৃত্বে।’’ তারপর শুভেন্দুর সংযোজন, “মোদী সরকারের কালা কানুন বাতিলের জন্য, সমবায়ের
উপর আক্রমণ রোখার জন্য মেদিনীপুর প্রয়োজন হলে অগ্রণী ভূমিকা
নেবে। আইনি পথে যতদূর যাওয়ার দরকার যাবো।”

Advertisement

বিভিন্ন সমবায় ব্যাঙ্কে এখনও পুরনো নোট জমা রয়েছে। তাই সমবায়-কর্তারা বলছেন, এই নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করা উচিত। না হলে সমস্যা হবে। কৃষি সমবায় সমিতিগুলোও বিপদে পড়বে। বিপদে পড়বেন কৃষকেরা। এ দিন শুভেন্দুও বলেন, “বহু গ্রামে ব্যাঙ্ক নেই, পোস্ট অফিস নেই। মোদীজি আগে ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস খুলুন তারপর এ সব করবেন। সামগ্রিক ভাবে সমবায় সমিতিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। চাষের কাজেও ব্যাপক প্রভাব পড়ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন