প্রতীকী ছবি।
দিনেদুপুরে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে রাজকুমার সিংহ নামে এক ব্যক্তির লক্ষাধিক টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠল। মঙ্গলবার দুপুরে বেলদা শহরের বাজার এলাকায় এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। বেলদা থানায় ছিনতাইয়ের অভিযোগও দায়ের হয়েছে। বাইকে আসা তিন দুষ্কৃতী ছিনতাইয়ের পরে জাতীয় সড়ক দিয়ে চম্পট দিয়েছে বলে দাবি রাজকুমারবাবুর।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খড়্গপুরে মাছের পাইকারি ব্যবসায়ী মহম্মদ আসামার ম্যানেজার হিসাবে কাজ করেন রাজকুমারবাবু। অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আসা রুই, কাতলা মাছ দিঘা, কাঁথি, এগরা, বেলদা এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন মহম্মদ আসামা। নিয়মিত সেই মাছ বিক্রির টাকা আদায় করতে যান রাজকুমারবাবু। এ দিনও মাছ ব্যবসায়ীদের থেকে টাকা আদায় করতে গিয়েছিলেন তিনি। দিঘা থেকে টাকা আদায় করে ম্যাটাডোরে বেলদায় আসেন তিনি। ম্যাটাডোরে ছিলেন চালক। ম্যাটাডোর দাঁড় করিয়ে বেলদা বাজারে টাকা আদায় করতে গিয়েছিলেন রাজকুমারবাবু। টাকা আদায়ের পরে ম্যাটাডোরের দিকে আসছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই সময় একটি বাইক তাঁর পথ আটকায়। ওই বাইকে তিনজন যুবক ছিল।
রাজকুমারবাবুর দাবি, দুপুর হয়ে গেলেও বাজারে লোক ছিল। বাইকে সবশেষে বসে থাকা যুবকের হাতে পিস্তল ছিল। আর চালকের পিছনে বসে থাকা যুবকের হাতে ছিল একটি ভোজালি। প্রথমে বাইক চালক পিস্তল দেখিয়ে তাঁকে টাকা ভর্তি ব্যাগ দিয়ে দিতে বলে। ব্যাগ দিতে অস্বীকার করায় পিছনে থাকা যুবক পিস্তল নিয়ে তাঁর ওপরে চড়াও হয়। ওই যুবকের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হতেই প্রথম যুবকের হাতে থাকা পিস্তল মাটিতে পড়ে যায়। রাজকুমারবাবুর দাবি, “আমি পিস্তল কুড়িয়ে নিই। সেই সময় আমার হাতে থাকা আড়াই লক্ষ টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিনিয়ে ওই যুবকেরা পালায়।” তাঁর আরও দাবি, “বাইক নিয়ে ওরা যখন পালাচ্ছে তখন কুড়িয়ে নেওয়া পিস্তল থেকে গুলি করার চেষ্টাও করেছিলাম। পিস্তলে গুলি ছিল না। আমার ধারণা, আগে থেকেই ওরা সব পরিকল্পনা করে আমার পিছু নিয়েছিল।”
এমন ছিনতাইয়ের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে বেলদা শহরের নিরাপত্তা। ঘটনাস্থলের অদূরেই বেলদা সুভাষপল্লির চাল ব্যবসায়ী লক্ষ্মণচন্দ্র সাউয়ের অভিযোগ, ‘‘পুলিশের টহলদারি সে ভাবে থাকে না। সিভিক ভলান্টিয়ার থাকলেও বেলা ১২টার পরে তাঁদের দেখা যায় না। এ ভাবে ছিনতাইয়ের ঘটনায় আমরা শঙ্কিত।” এলাকার বিভিন্ন দোকান ও ব্যাঙ্ক থেকে ঘটনার সিসি ক্যামেরা ফুটেজ পাওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।