তিনজনকে বেহুঁশ করে ট্রাক ছিনতাই

চালক-সহ তিনজনকে বেহুঁশ করে ‘ট্রাক হাইজ্যাকে’র অভিযোগ উঠল ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে খড়্গপুর গ্রামীণ থানা এলাকার মকরামপুরের কাছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৭ ০০:৩৭
Share:

আক্রান্ত: খড়্গপুর হাসপাতালে জখম ট্রাক চালক। নিজস্ব চিত্র

চালক-সহ তিনজনকে বেহুঁশ করে ‘ট্রাক হাইজ্যাকে’র অভিযোগ উঠল ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে খড়্গপুর গ্রামীণ থানা এলাকার মকরামপুরের কাছে। ঘটনার পরে বেশ কিছুক্ষণ বেহুঁশ হয়ে রাস্তায় পড়েছিলেন ট্রাক চালক কমলেশ সিংহ, ট্রাকের মালিক মহম্মদ দাউদ ও তাঁর ছেলে মহম্মদ হাসিম আলম। কমলেশের শরীরে মারধরের চিহ্নও রয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে তিনজনকে উদ্ধার করে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করায়। রবিবার বিকেল পর্যন্ত তাঁদের পুরোপুরি জ্ঞান ফেরেনি। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

Advertisement

শনিবার রাতে মকরামপুর টোলপ্লাজার আগে জাতীয় সড়কে পড়ে থাকতে দেখা যায় ওই তিনজনকে। বেহুঁশ অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করার পরে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। তবে ঘোরের মধ্যে থাকায় তাঁরা সব কথা বলতে পারেননি। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই তিনজনের বাড়ি বিহারের মুজফ্‌ফরপুরে। ভুট্টা বোঝাই ট্রাকে তাঁরা মালদহ থেকে ডানকুনি যাচ্ছিলেন। পথে চা খেয়েছিলেন। তারপর কেউ তাঁদের মারধর করে ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। কিন্তু কীভাবে মালদহ থেকে ডানকুনি যেতে গিয়ে তাঁরা খড়্গপুরে চলে এলেন, তার সদুত্তর মেলেনি। মুজফ্‌ফরপুরের বাড়িতে যোগাযোগ করা হয়েছে। সেখান থেকে খবর পেয়েছেন ট্রাক মালিকের পরিচিত খড়্গপুরের পাঁচবেড়িয়ার বাসিন্দা মহম্মদ আমজান। তিনি রবিবার হাসপাতালে গিয়েছিলেন। আমজান বলেন, “আমাদের দেশের বাড়িও মুজফ্‌ফরপুরে। মহম্মদ দাউদের ট্রাকের ব্যবসা রয়েছে। মালদহ থেকে ডানকুনি যাওয়ার পথে কেউ ট্রাক নিয়ে পালিয়েছে বলে ওঁরা জানিয়েছেন। কিন্তু কীভাবে এ সব হয়েছে সেটা ওঁদের জ্ঞান না ফিরলে বলা যাবে না।”

ভুবনেশ্বর-খড়্গপুর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে খড়্গপুর গ্রামীণ, বেলদা থানা এলাকায় এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে। গত ১৭ এপ্রিল গাড়ি থামিয়ে বেলদা থানা এলাকায় লক্ষাধিক টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার কিনারা এখনও হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাতে জাতীয় সড়কে পুলিশের গাড়ি এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে, টহল দেয় না। খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, “ট্রাক হাইজ্যাকের অভিযোগ উঠছে। সংজ্ঞাহীন থাকায় ওই তিনজন সব কথা বলতে পারেননি। ফলে, অভিযোগের সত্যতা বোঝা যাচ্ছে না। আমরা তদন্ত করছি।” তবে জাতীয় সড়কে পুলিশের টহলদারি চলে বলেই দাবি অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন