মহিষাদলে মোমোর ছায়া!

রাজ্যের কয়েকটি জেলায় ইতিমধ্যেই অনলাইন মারণগেম ‘মোমো’র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এবার সেই তালিকা জুড়ল পূর্ব মেদিনীপুরও। মহিষাদলের এক স্কুল ছাত্রের দাবি, হোয়াটসঅ্যাপে তাকে মোমো গেমের লিঙ্ক পাঠানো হয়েছে।  

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৮ ০১:২৪
Share:

এই নম্বর থেকে পাঠানো হয়েছিল মেসেজ। নিজস্ব চিত্র

রাজ্যের কয়েকটি জেলায় ইতিমধ্যেই অনলাইন মারণগেম ‘মোমো’র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এবার সেই তালিকা জুড়ল পূর্ব মেদিনীপুরও। মহিষাদলের এক স্কুল ছাত্রের দাবি, হোয়াটসঅ্যাপে তাকে মোমো গেমের লিঙ্ক পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

মহিষাদলের মধ্য হিংলি হাই স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র তুহিনশুভ্র আগুয়ান জানিয়েছে, বেশ কয়েকদিন আগে তাকে মোমো খেলার টোপ দেওয় হয়েছিল। তুহিন বলে, ‘‘গত ১৮ অগস্ট রাত সওয়া ১১টা নাগাদ হোয়াটসঅ্যাপে একটি লিঙ্ক এসেছিল। যা আমি বুঝে উঠতে পারিনি। তাই তাতে কোনও প্রতিক্রিয়া দিইনি। এর পরেই ওই নম্বর থেকে আমাকে ব্লক করে দেওয়া হয়।’’

তুহিন জানিয়েছে, এর পরে অন্য একটি নম্বর— +১ (৩১৫) ৪৯৩-৮১৬৫ থেকে তাকে ফের মেসেজে করা হয়। তাতে লেখা ছিল, ‘হাই ওএমজি, আই এন এইচ লাভ জিরো’। ওই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরের প্রোফাইলে মোমো খেলার লোগো ছিল। এমন অদ্ভুত নম্বর এবং মোমো গেমের ছবি দেখে তুহিন পরিবারকে ব্যাপারটি জানায়। ইতিমধ্যেই খবরের কাগজে মোমো গেমের সম্পর্কে পড়েছিলেন তার পরিজন। উল্লেখ্যে, সম্প্রতি ওই গেম খেলতে গিয়ে কার্শিয়াংয়ের এক ছাত্র মারা গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

Advertisement

ওই সব বিষয়গুলি মাথায় রেখে তুহিনের পরিবার গত ২৩ অগস্ট মহিষাদল থানায় লিখিত অভিযোগ জানাতে গিয়েছিল। পরিবারের দাবি, পুলিশ ওই গেম সম্পর্কে তেমন কিছু না জানায়, তারা সাইবার অপরাধ দমন শাখায় যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। এ ব্যাপারে মহিষাদল থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মোমো একটা বিদেশি খেলা। এটা কীভাবে হচ্ছে, কারা মেসেজ পাঠাচ্ছে, তা তদন্ত করার মতো পরিকাঠামো এখানে নেই। তাই পুলিশ সাইবার সেলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

মোমো গেম প্রসঙ্গে এসডিপিও তন্ময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই সব মারণগেমের ফাঁদে যাতে পড়ুয়ারা না পড়ে, সে জন্য স্কুলে স্কুলে সচেতনতা শিবির করা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement