কথা ছিল ১ বৈশাখ নতুন জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে ঝাড়গ্রাম।
তার আগেই পশ্চিম মেদিনীপুর ভেঙে নতুন জেলা গঠন হতে পারে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৪ এপ্রিল ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজের মাঠে এক প্রশাসনিক সভার মঞ্চ থেকে নতুন জেলার সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, নতুন প্রশাসনিক ঝাড়গ্রাম জেলা ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কলেজ মাঠ-সহ অরণ্যশহর ও নতুন জেলার বিভিন্ন এলাকায় একই সঙ্গে ২০টি জায়গায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ওই দিন সর্বসাধারণকে মিষ্টিমুখ করানোরও পরিকল্পনা রয়েছে। নতুন জেলার উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে একগুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রশাসন সূত্রের জানা গিয়েছে, আগামী ২ এপ্রিল রাতে মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফরে আসতে পারেন। ওই দিন মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে থাকতে পারেন তিনি। পরদিন, ৩ এপ্রিল খড়্গপুরে প্রশাসনিক বৈঠক ও প্রশাসনিক সভা করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। ওই রাতে ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সে থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। ৪ এপ্রিল ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজের মাঠে নতুন জেলার উদ্বোধনী সভা হবে। ওই সভায় মুখ্যমন্ত্রী নতুন জেলার আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “চূড়ান্ত কর্মসূচি এখনও ঠিক হয়নি। তবে মুখ্যমন্ত্রী চান, ঝাড়গ্রামের সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন জেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হোক। সেই মতো ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার উত্তর-পশ্চিম অংশের ৫৩৯.৬৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে নিয়ে পৃথক ঝাড়গ্রাম জেলা হচ্ছে। নতুন জেলার নাম হচ্ছে ঝাড়গ্রাম। যদিও নতুন জেলার নামকরণ নিয়ে একাধিক মত রয়েছে।
নতুন ঝাড়গ্রাম জেলার নামের সঙ্গে ‘মেদিনীপুর’ শব্দটি রাখার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন অবিভক্ত জেলার বুদ্ধিজীবী মহলের একাংশ। অন্য দিকে, স্থানীয় বিশিষ্টজনদের একাংশের দাবি, ঝাড়গ্রামের স্বতন্ত্র সংস্কৃতি রয়েছে। তাই নতুন জেলার নাম শুধুই ‘ঝাড়গ্রাম’ হোক।