Education

ঝাঁপ পড়ছে না কোনও প্রাথমিকের

জানা যাচ্ছে, কয়েক দিন আগে খোদ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে নারায়ণের নামে নালিশ জানিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের জেলা নেতৃত্ব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:৪৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

কোনও প্রাথমিক স্কুলই উঠছে না মেদিনীপুর শহরে। চেয়ারম্যান অপসারণের পরে এই মর্মে নতুন নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারই এই নির্দেশ জারি হয়েছে। বন্ধ স্কুলগুলির শিক্ষকদের অন্য স্কুলে বদলির নির্দেশ হয়েছিল আগেই। নতুন নির্দেশে আগের ওই নির্দেশ বাতিল হয়েছে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের তাঁদের পুরনো স্কুলে ফিরে যাওয়ারই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) তরুণ সরকার মানছেন, ‘‘শিক্ষক বদলির আগের নির্দেশ বাতিল করা হয়েছে। ওই শিক্ষকেরা যে স্কুলে ছিলেন, সেই স্কুলেই থাকবেন। কোনও স্কুল বন্ধ হচ্ছে না।’’ পাঁচ বছরেরও বেশি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান পদে থাকা নারায়ণ সাঁতরাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন চেয়ারম্যান কে হবেন সেই নির্দেশ এখনও আসেনি। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককেই (প্রাথমিক) সংসদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পদাধিকার বলে তিনি সংসদের সচিবও। এক অর্থে ওই নির্দেশের ফলে এ বার সংসদেও প্রশাসক বসল।

জানা যাচ্ছে, কয়েক দিন আগে খোদ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে নারায়ণের নামে নালিশ জানিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের জেলা নেতৃত্ব। সংগঠনের বক্তব্য ছিল, রাজ্যের নির্দেশ ছাড়াই জেলায় বেশ কিছু প্রাথমিক স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলির শিক্ষকদের অন্যত্র বদলি করা হচ্ছে। নারায়ণ সাঁতরা তাঁদের সঙ্গেও অসহযোগিতা করছেন। ঘটনাচক্রে, এরপরই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে নারায়ণকে। তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের নেতৃত্বের একটা বড় অংশেরই অভিযোগ, নারায়ণ সংগঠনকে গুরুত্ব দিতেন না। যদিও নারায়ণ অভিযোগ মানেননি। সম্প্রতি, মেদিনীপুর শহরের আটটি প্রাথমিক স্কুল তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সংসদ। ওই স্কুলগুলোর শিক্ষকদের শহর, শহরতলির অন্য স্কুলে বদলি করা হয়েছিল। সংসদের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয় প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনগুলি। একাংশ শিক্ষক জানিয়ে দেন, তাঁরা নির্দেশ মানবেন না। সংসদের অবশ্য দাবি ছিল, সবদিক দেখেই ওই আটটি স্কুল বন্ধ করা হয়েছে। এই স্কুলগুলির মধ্যে ছ’টি স্কুল ভাড়া বাড়িতে চলত। বাকি দু’টি স্কুল ‘পড়ুয়াশূন্য’ হয়ে পড়েছিল। সংসদের বক্তব্য ছিল, মেদিনীপুরে পর্যাপ্ত স্কুল রয়েছে। তাই ওই স্কুলগুলি বন্ধ করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনগুলি অবশ্য সংসদের দাবির সঙ্গে তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনও নয়।

Advertisement

শুক্রবার তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি অর্ঘ্য চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মেদিনীপুরের কিছু স্কুল বন্ধ করা হয়েছিল। এ নিয়ে আমাদের অসন্তোষের কথা শুরুতে সংসদকে, পরে শিক্ষামন্ত্রীকেও জানিয়েছিলাম। আগের নির্দেশ বাতিল হওয়ায় আমরা খুশি।’’ সিপিএমের সংগঠন নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক ধ্রুবশেখর মণ্ডলেরও বক্তব্য, ‘‘আমরা চাই স্কুলগুলি ভালভাবে চলুক। স্কুলগুলি সচল রাখতে যে পদক্ষেপ করা দরকার সংসদ করুক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন