Containment Zone

বাড়ল গণ্ডিবদ্ধ, মাস্ক ছাড়া ঘোরা চলছেই

সবমিলিয়ে খড়্গপুর শহরে এখন ১১টি গণ্ডিবদ্ধ এলাকা আছে। ঘাটাল মহকুমায় এখন গণ্ডিবদ্ধের সংখ্যা বেড়ে হল ২৭।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর ও ঘাটাল শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২০ ০০:৫৬
Share:

সংযোজন: এক যুবক সংক্রমিত হওয়ায় খড়্গপুরের রাজগ্রামে নতুন কন্টেনমেন্ট জ়োন হল শনিবার। এলাকা ঘিরে দিলেন পুলিশকর্মীরা। নিজস্ব চিত্র

গণ্ডিবদ্ধ এলাকার সংযোজন-বিয়োজন অব্যাহত রেলশহরে।

Advertisement

শনিবার খড়্গপুর শহরের বিধায়ক কার্যালয় সংলগ্ন ওল্ড সেটলমেন্ট এলাকা নতুন করে গণ্ডিবদ্ধ তালিকাভুক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ওই এলাকা গণ্ডিবদ্ধ তালিকা থেকে বাদ পড়েছিল। শুক্রবার এই নিয়ে সরব হয় বিরোধীরা। অনেকেই দাবি করেন, ওই এলাকার একশো মিটারের মধ্যে বিধায়ক কার্যালয় হওয়ায় সেটিকে গণ্ডিবদ্ধ তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। শনিবার সেটি গণ্ডিবদ্ধ হয়। তবে তারপরেও আক্রান্ত পরিবারের কোয়ার্টার সংলগ্ন ২৫ মিটার এলাকা ছাড়া ওই এলাকার বাকি অংশে লকডাউন পালনের কোনও ছাপ দেখা যায়নি। তবে গত দু’দিনের তুলনায় শনিবার রেলশহরে সামগ্রিক ভাবে পুলিশি তৎপরতা ছিল বেশি।

নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় রাজগ্রাম ও হিজলি স্টেশন সংলগ্ন রেল কোয়ার্টার এলাকাও এখন গণ্ডিবদ্ধ হয়েছে। সবমিলিয়ে খড়্গপুর শহরে এখন ১১টি গণ্ডিবদ্ধ এলাকা আছে। খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী সামসুদ্দিন আহমেদের, “ওল্ড সেটেলমেন্টের ওই গণ্ডিবদ্ধ এলাকা ভুলবশত তালিকা থেকে বাদ পড়েছিল। কিন্তু ওই এলাকাটি গণ্ডিবদ্ধই রয়েছে। লকডাউনও পালন হচ্ছে। মহকুমাশাসক সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের লকডাউন পালনের কাজে নামিয়েছেন।’’

Advertisement

শহরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে দু’টি গণ্ডিবদ্ধ এলাকা রয়েছে। ওই এলাকার প্রাক্তন বিজেপি কাউন্সিলর অনুশ্রী বেহেরা বলেন, “আমাদের এলাকার মানুষ সচেতন হয়ে নিজেরাই লকডাউন পালন করছেন। পুলিশও কড়া নজর রেখেছে।” তবে পাঁচবেড়িয়ার বালুবস্তি, নিমপুরা, ভবানীপুরে এখনও মাস্ক ছাড়া ঘুরতে দেখা গিয়েছে। এ দিন নিমপুরায় বোরিং কলোনিতে একটি বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে আরপিএফ ও রেলের ওয়ার্কস বিভাগের লোকজন পৌঁছে গেলে উত্তেজনা তৈরি হয়। অনেকেই মাস্ক ছাড়াই সেখানে চলে আসেন। ভঙ্গ হয় সামাজিক দূরত্ব।

শনিবার দাসপুরেও নতুন করে দু’জন আক্রান্ত হয়েছে। সেই সূত্রে ঘাটাল মহকুমায় এখন গণ্ডিবদ্ধের সংখ্যা বেড়ে হল ২৭। এদিন ঘাটাল মহকুমার গণ্ডিবদ্ধ এলাকাগুলিতেও পুলিশের তৎপরতা দেখা গিয়েছে। অনেক বাড়িতেই নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন তাঁরা। এদিন ঘাটাল শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, থুতনিতে মাস্ক ঝুললেও এবার ধরা হবে।

ঘাটালের মহকুমা পুলিশ অফিসার অগ্নীশ্বর চৌধুরী বলেন, “ঘাটাল মহকুমায় গণ্ডিবদ্ধ এলাকায় পুরো মাত্রায় লকডাউন চলছে। প্রত্যেক এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের টিম প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করেছে।” তিনি জানান, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত লকডাউন অমান্য করায় ঘাটাল মহকুমা জুড়ে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শনিবার দাসপুরে যে দু’জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে তাঁরা পরিযায়ী শ্রমিক। ৬ জুলাই মুম্বই থেকে ফিরেছিলেন তাঁরা। ৯ জুলাই দাসপুর গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে তাঁদের লালারস নেওয়া হয়। মহকুমা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এখন

দাসপুরে ১৫ জন সক্রিয় করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছেন। ঘাটাল ও চন্দ্রকোনায় অবশ্য কোনও সক্রিয় করোনা রোগী এখন নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন