Ghatal

অবরুদ্ধ শহরের নিকাশি, নির্বিকার পুর-প্রশাসন

আসন্ন পুরভোটের আগে শহরের নিকাশি সমস্যা ঘাটালবাসীর কাছে চিন্তার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২০ ০৪:৫৭
Share:

অবরুদ্ধ ঘাটাল শহরের মূল নিকাশি নালা। নিজস্ব চিত্র

এখনও তৈরি হয়নি ডিপিআর। তাই শুরু করা যায়নি নর্দমা সংস্কারের কাজও। আসন্ন পুরভোটের আগে শহরের নিকাশি সমস্যা ঘাটালবাসীর কাছে চিন্তার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Advertisement

ঘাটাল শহরে নিকাশির সমস্যা নতুন কিছু নয়। নব্বইয়ের দশক থেকেই নিকাশি সমস্যা সমাধানে পুরসভায় দরবার করছেন শহরের বাসিন্দারা।শহরবাসীর অভিযোগ, এতদিনেও পুরসভা প্রকল্পের ডিপিআর তৈরি করতে পারল না। অন্যদিকে ক্রমশ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ছে মূল নালাগুলি। হেলদোল নেই পুরসভার। পুরসভার এক সূত্র জানাচ্ছে, ঘাটাল পুর এলাকার ১৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২টি ওয়ার্ডে ফি বছর জলমগ্ন হয়ে যায়। বাকি পাঁচটি ওয়ার্ড নদীর বাঁধ ভাঙলে জলমগ্ন হয়। সমস্যার শুরু এখানেই। ঘাটাল শহরের মূল নিকাশি নালা কুশপাতা-গোবিন্দপুর হাইড্রেন এবং কোন্নগর হাইড্রেন। এই দু’টি বড় নালাই ঘাটালের পশ্চিম অংশের নিকাশির মূল ভরসা। কিন্তু গত পাঁচ বছরে শহরের দু’টি নালা সংস্কারে হাত দেয়নি পুরবোর্ড। যার জেরে শুধু নিকাশি সমস্যাই নয়, মশা-সহ দূষণ সমস্যাতেও জেরবার শহরের নাগরিকেরা।

সূত্রের খবর, কুশপাতা-গোবিন্দপুর হাইড্রেনটি পাঁচ কিলোমিটার এবং কোন্নগর হাইড্রেনটি চার কিলোমিটার দীর্ঘ। ঘাটাল শহরের পাঁচটি ওয়ার্ডের যাবতীয় নোংরা জল এই ড্রেনগুলি দিয়েই যায়। শহরবাসীর অভিযোগ— একে নালা সংস্কার হয়নি, তার উপর নালা অবরুদ্ধ করে গজিয়ে উঠছে স্থায়ী-অস্থায়ী নানা নির্মাণ। নালা বুঝিয়ে তৈরি হচ্ছে রাস্তাও। তার সঙ্গে শহরের হোটেল, রেস্তরাঁ, বাড়ির নানা নোংরাও ফেলা হয় নালায়। এ ছাড়াও ঘাটালে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল এবং বেসরকারি নার্সিংহোমগুলির নোংরাও এসে মেশে নালার জলে। সংস্কার না হওয়ায় নালা উপচে নোংরা উঠে আসে রাস্তায়। ছড়ায় দুর্গন্ধও।

Advertisement

পুরসভা সূত্র জানানো হয়েছে, বছর দশেক আগে নিকাশি সমস্যার সমাধানে ডিপিআর তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ডিপিআর তৈরির জন্য এক সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তুতিও শুরু হয়েছিল কয়েক বছর আগে। পুর দফতরের কাছে এ জন্য টাকাও চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু টাকা আসেনি। তার জেরে নিকাশি সংস্কারের কাজ এগোয়নি।

ঘাটালবাসীর আক্ষেপ, পুরসভার বয়স প্রায় ১৫০ বছর হয়ে গিয়েছে। শহরটি মহকুমা সদরও বটে। শহরে জনসংখ্যা বাড়ছে। তৈরি হয়েছে নতুন নতুন পল্লি। কিন্তু সে ভাবে নিকাশি সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ নেয়নি পুরসভা। তার ফল ভুগছেন শহরের বাসিন্দারা। সংস্কার তো দূর, নালা যাতে অবরুদ্ধ না হয়, সে ব্যাপারেও হেলদোল নেই পুর কর্তৃপক্ষের। পুরসভার এক পদস্থ কর্মীর মানছেন, “গোটা ঘাটাল শহরে নিকাশির যা হাল, এখনই সংস্কার প্রয়োজন।’’ পুরসভার চেয়ারম্যান বিভাস ঘোষ বলেন, “আর্থিক অভাবে সংস্কারের কাজ শুরু করা যায়নি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন