tmc

শুভেন্দুর সভা, সাসপেন্ড নেতার ‘প্রচারে’ বিতর্ক

ওই পোস্টে লেখা রয়েছে, ‘এনআরসি, সিএএ, এনপিআর-এর প্রতিবাদে বিশাল জনসভা। প্রধান বক্তা-শুভেন্দু অধিকারী। প্রচারে শেখ সেলিম আলি’। পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু এবং সাংসদ শিশির অধিকারী, দিব্যেন্দু অধিকারীর ছবি রয়েছে। পোস্ট ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। দলের সাসপেন্ড তথা পলাতক নেতা কীভাবে জেলা নেতৃত্বের সভার প্রচার করছেন, সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:৫৮
Share:

ফেসবুকের এই পোস্টেই বিতর্ক।

দলের সাসপেন্ড হওয়া নেতা প্রচার করছেন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সভার! ফেসবুকে এ নিয়ে একটি পোস্ট ঘিরে বিতর্ক দেখা দিয়েছে জেলা রাজনীতিতে।

Advertisement

কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আধিকারিককে মারধরের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে শান্তিপুর-১ পঞ্চায়েত প্রধান শেখ সেলিম আলির। এর পরেই তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব তাঁকে দল এবং শ্রমিক সংগঠন থেকে সাসপেন্ড করেছেন। বর্তমানে সেলিম পলাতক। এদিকে, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি মেচেদায় সভা রয়েছে শুভেন্দুর। ওই সভা সংক্রান্ত শনিবার ফেসবুকে একটি পোস্ট করা হয়েছে ‘কেটিপিপি ট্রেড ইউনিয়ন’ পেজ থেকে।

ওই পোস্টে লেখা রয়েছে, ‘এনআরসি, সিএএ, এনপিআর-এর প্রতিবাদে বিশাল জনসভা। প্রধান বক্তা-শুভেন্দু অধিকারী। প্রচারে শেখ সেলিম আলি’। পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু এবং সাংসদ শিশির অধিকারী, দিব্যেন্দু অধিকারীর ছবি রয়েছে। পোস্ট ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। দলের সাসপেন্ড তথা পলাতক নেতা কীভাবে জেলা নেতৃত্বের সভার প্রচার করছেন, সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

ঘটনাচক্রে এ দিনই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে দলের শ্রমিক সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে জনসভার প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি দিব্যেন্দু রায়, জেলা পরিষদের মেন্টর অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়, শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লক তৃণমূলের আহ্বায়ক শরৎ মেট্যা, পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ জয়দেব বর্মণ, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিক নেতা আব্দুল মান্নান প্রমুখ। সাসপেন্ড হওয়া নেতার নামে শুভেন্দুর জনসভার প্রচারমূলক ওই ফেসবুক পোস্ট নজরে আসে জয়দেব- সহ ওই তৃণমূল নেতাদেরও। শরৎ মেট্যা বলেন, ‘‘সেলিম আলির সঙ্গে এখন দলের কোনও সম্পর্ক নেই। এভাবে প্রচার চালানোর অধিকার তাঁর নেই।’’

বর্তমানে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিক সংগঠন ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তাহলে সংগঠনের নামে ফেসবুকে এভাবে প্রচার চালাচ্ছে কারা? এ ব্যাপারে জয়দেবের জবাব, ‘‘কারা করছে জানা নেই। এ বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে।’’ আর এক নেতা জয়দেব বলেন, ‘‘বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্যই কেউ এটা করেছেন। কে ওই ঘটনায় জড়িত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’’ ওই পোস্টের বিষয়ে সেলিম আলিকে ফোন করা হয়েছিল। তবে তিনি ফোন ধরেননি।

বিজেপি’র অবশ্য কটাক্ষ, যে দলের আর এক সাসপেন্ড হওয়া নেতা দিবাকর জানার জামিনে অন্য নেতারা ফুল-মালা অভ্যর্থনা জানা, সে দলের কাছ থেকে এর বেশি কিছু আশা করা যায় না। বিজেপির তমলুক জেলা সভাপতি নবারুণ নায়েক বলেন, ‘‘তৃণমূলের সাসপেনশনের নির্দেশ কার্যত লোক দেখানো। সেলিম আলির প্রচার সংক্রান্ত পোস্ট তো
তারই প্রমাণ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন