পরবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।—ফাইল চিত্র।
সম্মেলনের মাধ্যমে নিজেদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া রাজ্য সরকারের কাছে তুলে ধরতে চেয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। কিন্তু সম্মেলনে পরিবহণ মন্ত্রীকে সামনে পেয়ে নিজেদের ক্ষোভ আর চেপে রাখতে পারলেন না দুই সংগঠনের সদস্যরা। বাস চালাতে গিয়ে প্রতিদিন তাঁদের পুলিশি হয়রানির অভিযোগ তুলে সরব হলেন একাধিক বাস মালিক। উঠল পরিবহণ দফতরের একাংশ আমলার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগও।
রবিবার ওই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল নন্দকুমার পঞ্চায়েত সমিতির অফিস সংলগ্ন বিবেকানন্দ সভাঘরে। ডিস্ট্রিক্ট বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তথা নন্দকুমার পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি সুকুমার বেরা বলেন, ‘‘পরিবহণ দফতরের একাংশ আমলার দুর্নীতি করছে। ফলে আমাদের জমা দেওয়া টাকার পুরোটা দফতরে যাচ্ছে না। তা ছাড়া পুলিশ থেকে শুরু করে পরিবহণ দফতরের এক শ্রেণির আমলা সমস্ত রকমভাবে আমাদের উৎপীড়ন করছেন। পরিবহণ মন্ত্রীকে সংবেদনশীলতার সঙ্গে আমাদের এই সমস্যাগুলি দেখতে অনুরোধ করছি।’’
পরবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য দুর্নীতির অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘পরিবহণ দফতরে স্বচ্ছতা আনতে আমরা নানা পদক্ষেপ করেছি। দফতরের অফিসে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় অনলাইন পদ্ধতি চালু সহ আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হয়েছে।’’ পাল্টা অভিযোগে মন্ত্রী বলেন, ‘‘যাঁরা উৎকোচ নেন ও দেন তাঁরা উভয়েই দায়ী।’’ বাসমালিকদের উদ্দেশে তাঁর বক্তব্য, ‘‘আপানারা যদি আইন মেনে চলেন তা হলে পুলিশ আপানাদের কেস দিতে পারবে না। দফতরে ফাইল চালাচালির জন্য উৎকোচ নেওয়া বন্ধ করতে আপনাদেরও সতর্ক হতে হবে। এ জন্য সব সময়েই আমরা পাশে আছি।’’
মন্ত্রীর দাবি, ‘‘আমি দালাল চক্র নির্মূল করব। তাতে কোনও আপস করব না। একইভাবে গাড়ির সার্টিফিকেট অফ ফিটনেসের ক্ষেত্রে একটা টায়ার লাগিয়ে আবার তা খুলে অন্য টায়ার লাগাবেন এ জিনিসও বরদাস্ত করা হবে না।’’ তিনি জানান, সাধারণ মানুষের সুবিধায় বিভিন্ন জায়গায় দফতরের অফিস চালু করা হচ্ছে। আগামী ১১ জুলাই থেকে হলদিয়ায় এআরটিও অফিসের কাজ চালু হবে।
সম্মেলনে ছিলেন সাংসদ শিশির অধিকারী, বিধায়ক সুকুমার দে, বিধায়ক সংগ্রাম দলুই সহ বাস মালিক সংগঠনের রাজ্য ও জেলা নেতৃত্ব।