দুষ্কৃতী তাণ্ডব ঠেকাতে পুলিশি টহলের দাবি মদ ব্যবসায়ীদের

রেলশহরে দুষ্কৃতী তাণ্ডব বাড়ছে, এমন অভিযোগ উঠছিল দীর্ঘদিন ধরেই। সেই তাণ্ডব চলছে বিদেশি মদের দোকানগুলিতেও। সম্প্রতি খড়্গপুর শহরের নিমপুরার একটি পানশালায় স্থানীয় এক দুষ্কৃতী তার দলবল নিয়ে ঢুকেছিল। দাবি মতো মদ পেতে দেরি হওয়ায় পানশালার কর্মীদের তারা নানাভাবে হুমকি দিতে থাকে বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৬ ০৫:৫৭
Share:

রেলশহরে দুষ্কৃতী তাণ্ডব বাড়ছে, এমন অভিযোগ উঠছিল দীর্ঘদিন ধরেই। সেই তাণ্ডব চলছে বিদেশি মদের দোকানগুলিতেও।

Advertisement

সম্প্রতি খড়্গপুর শহরের নিমপুরার একটি পানশালায় স্থানীয় এক দুষ্কৃতী তার দলবল নিয়ে ঢুকেছিল। দাবি মতো মদ পেতে দেরি হওয়ায় পানশালার কর্মীদের তারা নানাভাবে হুমকি দিতে থাকে বলে অভিযোগ। এমনকী আরও একধাপ এগিয়ে বেশ কয়েকটি মদের বোতল উঠিয়ে নিয়ে বেরিয়ে যায় ওই দুষ্কৃতীরা।

এমন হামলার পরে আতঙ্কিত শহরের রেল ব্যবসায়ীরা। এই তাণ্ডব রুখতে পুলিশ প্রশাসনকে আরও সজাগ হওয়ার দাবি জানাল জেলার ফরেন লিকার অ্যাসোসিয়েশন। শনিবার সকালে বিদেশি মদ ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্যরা বৈঠকে বসেন। পরেই সাংবাদিকদের সামনেও নিরাপত্তাহীনতার কথা তুলে ধরেন।

Advertisement

সংগঠনের জেলা সহ-সভাপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা সম্পাদক রঞ্জন ঘোষরা দাবি করেন, শহরে বিদেশি মদের দোকান ও পানশালাগুলিতে নানা ধরনের মানুষের আনাগোনা। কিন্তু শহরে যে ভাবে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য বাড়ছে তাতে ব্যবসা করতে গিয়ে নিরাপত্তার অভাব দেখা দিচ্ছে।

সম্প্রতি যে পানশালায় হামলা হয়েছে, সেটির মালিক স্বয়ং সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে আতঙ্কিত অন্য ব্যবসায়ীরাও। তাঁদের মতে, সংগঠনের সহ-সভাপতির দোকানেই যদি এ ভাবে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের শিকার হয় তবে সাধারণ ব্যবসায়ীরা কতখানি নিরাপদ তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে সংগঠনের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, এ ধরনের ঘটনাকে তাঁরা ভাল চোখে দেখছেন না।

শহরের সর্বত্র নিরাপত্তার অভাব। সংগঠনের তরফে প্রতিদিন দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৫টা এবং রাত ৮টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত পুলিশি টহলদারি বাড়ানোর দাবি করা হয়েছে। সংগঠনের জেলা সম্পাদক রঞ্জন ঘোষ বলেন, “একটি ঘটনার পরে পুলিশ পদক্ষেপ করেছে।
কিন্তু এমন ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত। শহরে পুলিশি টহলদারির দাবি জানাচ্ছি।”

যদিও খড়্গপুরের এসডিপিও কার্তিক মণ্ডল বলেন, “প্রতিদিন এমন ঘটনা ঘটছে এ কথা ঠিক নয়। নিমপুরার ঘটনায় আমরা ইতিমধ্যে কয়েকজনকে আটক করেছি। শহরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হচ্ছে। তবে নিয়মমাফিক টহলদারি চলছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন