ছেলেকে কোলে বসিয়ে অভিজ্ঞতা জানালেন মনীষা। — নিজস্ব চিত্র।
পাঁচ মাসের শিশুর গলায় ভোজালি ঠেকিয়ে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটল তমলুক থানা এলাকায়। রবিবার রাত প্রায় একটা নাগাদ বল্লুক পাঁচবেড়িয়া গ্রামে এক গৃহস্থ বাড়িতে হানা দেয় জনা কয়েক দুষ্কৃতী। গৃহকর্তা ভক্তিপদ মাইতির দাবি, লুঠ হয়েছে প্রায় ২ লক্ষ টাকা, ২০ ভরি সোনার গয়না, তিনটি মোবাইল-সহ অন্যান্য সামগ্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুক থানার কাঁকটিয়া বাজারের অদূরে বল্লুক পাঁচবেড়িয়া গ্রামে প্রায় মাঠের মাঝখানেই নতুন বাড়ি করেছেন বছর ষাটের ভক্তিপদ মাইতি। ভক্তিপদবাবু ও তাঁর স্ত্রী যশোদা মাইতি স্থানীয় বাজার থেকে পান, নারকেল ও চকোলেট কিনে ঝাড়খণ্ডের টাটা, ঘাটশিলায় গিয়ে বিক্রির ব্যবসা করেন। আগে কাঁকটিয়া বাজারের কাছেই থাকতেন। মাস খানেক আগে তাঁরা এই বাড়িতে এসেছেন। ছোট ছেলের বিয়ে এবং গৃহপ্রবেশের অনুষ্ঠানও করেছিলেন এই বাড়িতে।
মাইতি পরিবারের দাবি, দুষ্কৃতীদের মধ্যে পাঁচজন বাড়ির ভিতরে ঢুকেছিল। কিন্তু বাইরে ছিল আরও বেশ কয়েকজন। স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন, একেবারে ফাঁকা জায়গায় বাড়ি হওয়াতেই এ ভাবে ডাকাতি করার সাহস পেয়েছে দুষ্কৃতীরা। সোমবার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, চাষজমির উপর ওই বাড়ির চারদিকে কোনও বসতি নেই। যা রয়েছে তা কয়েকশো মিটার দূরে।
মাইতি পরিবারের বধূ মনীষা বলেন, ‘‘তখন রাত প্রায় একটা। ছেলের জ্বর হয়েছিল। মুখে কাপড় ঢাকা একদল লোক দরজার তালা ভেঙে ঢুকে শ্বশুর, শাশুড়িকে মারধর শুরু করে। আমার কোলের ছেলের গলায় ভোজালি ধরে কেটে ফেলার হুমকি দেয়। তারপর সবাইকে একটা ঘরে ঢুকিয়ে হাত-পা বেঁধে দেয়।’’ এরপর আলমারি ভেঙে চলে লুঠপাট। পরিবারের সদস্যেদের গায়ে যে টুকু গয়না ছিল, তাও কেড়ে নেয় দুষ্কৃতীরা।জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। কিছু তথ্যসূত্রও মিলেছে। শীঘ্রই দুষ্কৃতীরা ধরা পড়বে।