প্রতীকী ছবি।
হোটেলের ফেলে দেওয়া খাবার খেয়ে দিঘায় গবাদি পশু মারা গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, পোকামাকড়ের উৎপাত রুখতে ফেলে দেওয়া ওই খাবারে হোটেল কর্তৃপক্ষ কীটনাশক মিশিয়ে দেন। আর তাতেই ঘটেছে বিপত্তি।
নিউ দিঘার স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, হোটেল কর্মীদের একাংশ উচ্ছিষ্ট খাবার আস্তাকুড়ে ফেলার সময় সেখানে পোকামাকড়ের উৎপাত কমাতে কীটনাশক মিশিয়ে দিচ্ছেন। মঙ্গলবার সেই খাবার খেয়ে নিউ দিঘা এলাকায় একের পর এক গরু রাস্তায় পড়ে ছটফট করতে দেখা গিয়েছে। কয়েকজন ব্যবসায়ী ঘটনাটি দেখতে পেয়ে পশু চিকিৎসকদের ডেকে এনে চিকিৎসা করাতে উদ্যোগী হন। কিন্তু শেষ রক্ষা করা হয়নি। অন্তত ৮টি গরুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। অসুস্থও হয়েছে অনেক গরু। সেগুলি দিঘার বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী শান্তনু কুণ্ডু বলেন, ‘‘আগেও কিছু অসাধু হোটেল কর্মী এই ভাবে খাবারে কীটনাশক মিশিয়ে সেগুলি ডাস্টবিনে ফেলে রেখেছিলেন। তবে মঙ্গলবার যে ভাবে এতগুলি গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে, এতে আমরা উদ্বিগ্ন।’’ নিউ দিঘার আরও এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘আমাদের আশঙ্কা এই এলাকায় আরও একাধিক গবাদি পশু ওই খাওয়ার খেয়ে অসুস্থ হয়ে রয়েছে। বিষয়টি প্রশাসনকে দেখার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।’’
বিষয়টি সামনে আসার পরে তা রোধে উদ্যোগী হয়েছে দিঘা থানার পুলিশ। ইতিমধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে দিঘার হোটেল মালিকদের সংগঠনকে ডেকে এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। ‘দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনে’র সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, “এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে। হোটেলগুলি যাতে নিদিষ্ট ভ্যাটে উচ্ছিষ্ট খাওয়ার ফেলে এবং তাতে কীটনাশক না মেশায়, সে জন্য আমরা দিঘায় মাইকে করে প্রচার করার উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করছি আর এই সমস্যা হবে না।’’
রামনগর-১ এর বিডিও আশিসকুমার রায় বলেন, ‘‘যে কোনও মৃত্যুই দুর্ভাগ্যজনক। এটা কখনই কাম্য নয়। হোটেল কর্মীদের আরও সচেতন হতে হবে। আমি ডিএসডিএ-র আধিকারিককে জানিয়েছি বিষয়টি নিয়ে দ্রুত তদন্ত করার জন্য।’’